নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ কোন ভুল করবে না। এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলিকেই নির্বিাচিত করবে। নৌকা মার্কাকেই জয়ী করবে। কেননা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আওয়ামিলীগ তথা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামিলীগ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা গুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা হত্যা, সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করেন তাদের কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা বারা বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছে। এসময় মঞ্চে শামীম ওসমানকে দেখিয়ে বলেন, তারা তাকেও মারতে বোমা হামলা করেছিলেন। অনেকগুলো মানুষ সেদিন মারা গিয়েছিলো। এদেশের মানুষ সেই বীভৎসতা গুলো ভুলে যায় নাই। আমি নারায়ণগঞ্জের বোমা হামলার বিষয়টি নিজে খোঁজ নিয়ে তার বিচারের বিষয়টি তদারকি করবো। শামীম ওসমানের বাবা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের সুতিকাগার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা ভেবেছিলো তারা পাড় পেয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। তার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে দেশকে কলঙ্ক মুক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি মানবতার অনন্য এক উদাহরণ। মায়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গা সরনার্থীদের তিনি এই দেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ন হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলার চেয়ারম্যান এড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক এমপি সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।