নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: ৭ জানুয়ারি (রবিবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগগঞ্জ) আসন থেকে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। প্রতিদ্বন্দি এই ৯ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থীই প্রত্যেকের নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পান নাই। ফলে ওই ৭ জন প্রার্থীর নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের সময় প্রদেয় জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের ৯ জন প্রার্থীর ৭ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এই সাতজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব (সোনালী আঁশ) তৈমুর আলম খন্দকার। তার প্রাপ্ত মোট ভোট ৩ হাজার ১৯০। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪।
সেই হিসেবে তৈমুর আলম মাত্র ১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন গাজী গোলাম দস্তগীরের ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজা (ঈগল)। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩৯১ ভোট। এই আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের হিসেবে গোলাম মূর্তজা এক শতাংশ ভোটও পান নাই। একই অবস্থা জাকের পার্টির মোহাম্মদ যোবায়ের আলম ভূঞা (গোলাপ ফুল) ৬০৪ ভোট, স্বতন্ত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (ট্রাক, ২৯৬ ভোট), মো. হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র (আলমিরা) ১৬৫, ইসলামিক ফ্রন্টের এ কে এম (চেয়ার) শহীদুল ইসলাম ৮২০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। অপর দিকে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ১ হাজার ৫৬৫ ভোট পেয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের চেয়ে কিছু ভোট বেশি পেলেও তিনিও হারাচ্ছেন জামানত।
এদিকে নির্বাচনে এই আসনে গাজী, শাজাহান ও তৈমূরের বাইরে শুধু জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাইফুল ইসলামের কিছু গণসংযোগ চোখে পড়লেও বাকি প্রার্থীদের কোনো তৎপরতা দেখেননি রূপগঞ্জবাসী।
প্রসঙ্গত,নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা, তারাব ও কাঞ্চন পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮১৭। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭২০ জন। এখানে দুজন উভয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।