সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি কার বিরুদ্ধে ভোট চাইবো? একাত্তর সালে যেই রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের সহযোগিতায় আপনার আমার চোখের সামনে দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত ছিনিয়ে নিয়েছে, এদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে? আজ বিএনপি সেই জামায়াত শিবিরকে নিয়ে নির্বাচন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে বলব আমাকে ভোট দেন, ছি! আমার লজ্জা লাগে, আমার ঘৃনা লাগে। কারন যে মায়ের ইজ্জত গেছে সে আমারও মা, যে বোনের ইজ্জত গেছে সে আমারও বোন, যে মেয়ের ইজ্জত গেছে সে আমারও মেয়ে, আমার লজ্জা লাগে মাগো। ওদের বিরুদ্ধে আমাকে ভোট চাইতে হবে?
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি এলাকায় কয়েকটি স্পটে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় জনসাধারনের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এসময় শামীম ওসমান বলেন, আমার লজ্জা লাগে পৃথিবীর মধ্যে একটি মাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে এখনও স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনীতি করে সমান তালে। আশ্রয় দেয় কে? বিএনপি ও ডক্টর কামাল হোসেনদের মত বদমাইশরা সব। আমি বিএনপির বিরুদ্ধে না কিন্তু যারা আমার মা বোনের ইজ্জত নিয়েছে তাদেরকে তো আর সম্মান করতে পারি না। ইনসাফ করবেন না আপনারা? ইনসাফ না করলে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন আপনারা?
তিনি আরো বলেন, নেতারা কয় তোমার আর কষ্ট করে লাভ কি? আমার বিরুদ্ধে যে নির্বাচনে খারাইছে তারে আমিই খুইজ্জা পাইনা। তার বাড়ী কই, কই থাকে, তারে আমি খুজি আর খুজি পাই না। তবে শুনি, শনতাছি নির্বাচন করার জন্য সে আসে নাই, আসছে নাকি অন্য উদ্দেশ্য নিয়া। গত ৪ থেকে ৫ দিন নারায়ণগঞ্জের চারপাশে জঙ্গীদের, শিবিরের ও জামায়াতের আনাগোনা বেড়ে গেছে এবং ঢাকা থেকে নাকি জঙ্গীরা আসে। উদ্দেশ্য কি? রাত বিরাতে আসে কেন? জঙ্গী হামলা করবেন? আমাকে আবার মারার চেষ্টা করবেন? ১৬ জুনের মতো বোমা হামলা করবেন, ২১শে আগষ্টের মতো ঘটনা ঘটাবেন, ঘটনা, মালিক তো আল্লাহ। বাচানোর মালিক আল্লাহ এবং নেয়ার মালিকও আল্লাহ। তবে আমাদেরকে হামলা করেন, পারলে মারেন কিন্তু খুব সাবধান! জনগনের উপর যদি কেউ আঘাত হানার চেষ্টা করেন, কসম আল্লাহর, যদি মনে করেন আবারো পেট্রোল বোমা মারবেন, আবারও মানুষ জ্বালাইয়া-পোড়াইয়া মারবেন? এইবার কিন্তু সাধারন মানুষ মাফ করবে না, শামীম ওসমানও মাফ করবে না। নারায়ণগঞ্জের সবাইকে নিয়ে আপনাদেরকে ধরা হবে। এইবারের নির্বাচনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জঙ্গীরা কি করবে আমি জানি। এ নির্বাচনে বিএনপির নমিনেশন যদি শাহআলম কিংবা গিয়াস উদ্দিন পাইতো তাহলে বুঝতাম একজন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। এখন নির্বাচনটা করছি কার সাথে তাও জানি না, কেন তারা নারায়ণগঞ্জে এসেছে তাও জানি না, সাংবাদিকরা পত্রিকায় লিখছে, এলাকা থেকে বিভিন্ন লোকও খবর দিচ্ছে এই লোকটাতো মসজিদে ইমামতি করতেছিল আমরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছি এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল, অনেক দিন পর সে নারায়ণগঞ্জ আসছে।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বদিউজ্জামান বদু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা পারভীন, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সম্পাদক শামছুল আলম বাচ্চু, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ই¯্রাফিল প্রধান, কড়ইতলা এলাকায় উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিল, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, নাছির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম এবং হাফেজ মো: শফিউদ্দিন পাখা শাহ এলাকায় উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিল, জালকুড়ি পশ্চিম উত্তর নির্বাচন কেন্দ্র কমিটির আহবায়ক দ্বীন মোহাম্মদ দিনু, যুগ্ন আহ্বায়ক বায়েজিদ আহমেদ, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, উত্তর পাড়া এলাকায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক হোসেন চানু, আমজাদ হোসেন, এন্নত আলী মেম্বার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, সুজন আলী, সালাউদ্দিন, সোহরাব শিকদার, কামরুল ইসলাম, ইসরাফিল, নুর মোহাম্মদ, রাসেল, আ: জলিল, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন মিলন, মোমেন মুক্তি, মো: আলী বাবু, রাশেদ মিয়া, রাসেল শেখ, আকিবুল্লাহ, ওমর আলী, আলেয়া বেগম, হামিদুল্লাহ, আফজাল, আলী হোসেন, নুর ইসলাম ও রাজন।