নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় নেশাগ্রস্ত মেয়ের জামাইর ছুরিকাঘাতে ওহাব মিয়াকে (৬৫) বৃদ্ধ খুন হয়েছে। আর শ্বশুরকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী জামাই আলমগীরকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সোমবার (২১ জানুয়ারী) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকাস্থ আর এমএস সোয়েটার কারখানা সংলগ্ন রনি মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওহাব মিয়া কিশোরগঞ্জের বাইজিদপুর থানার বাইজিদপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। সে স্বপরিবার নিয়ে আলীগঞ্জ এলাকার রনির মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে। আটককৃত আলমগীর ফতুল্লা রেলস্টেশন উকিল বাড়ি মোড় এলাকার আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে।
নিহতের মেয়ে রোকসানা জানান, তার ছোট বোন শাহনাজকে পারিবারিক ভাবে আলমগীরের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। আলমগীর মূলত নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। নেশার টাকার জন্য প্রায় সময় স্ত্রী শাহনাজকে নির্যাতনসহ যৌতুকের টাকার জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শাহনাজ বাপের বাড়িতে চলে আসে। পারিবারিক সমস্যা নিয়ে রোববার আলীগঞ্জে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীরের অফিসে বিচার শালিস হয়। সেই সূত্র ধরে ক্ষীপ্ত হয়ে আলমগীর সন্ধায় শ্বশুর বাড়ি আলীগঞ্জে এসে হৈ চৈ করার একপর্যায়ে আলমগীরের হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করে শশুর ওহাবকে খুন করে। পরে ওহাবকে রক্তাক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নেশাগ্রস্ত মেয়ের জামাই ছুরিকাঘাত করে শ্বশুরকে খুন করে। খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আলমগীরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আর নিহতের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।