নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ১০নং ওয়ার্ডের নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের নিউট্রাল পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক এরপর জয়নাল নিজেকে কি করে চেয়ারম্যান দাবি করে এমন প্রশ্ন রেখে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরেও কিভাবে নীট কর্নসানের মালিক জয়নাল আবেদীন লক্ষী নারায়ণ কটন মিলের চেয়ারম্যান হোন কিভাবে? তার কাছে কি কওে শেয়ার হস্তান্তর হয় । আর যদি তা হয়ে থাকে রাতে অন্ধকারে হয়েছে। রাতে অন্ধকারে হয়ে থাকলে আমার তা মানি না। এই রকম অনিয়মের মালিক দেখানো চলবে না।
বুধবার (১২ জুন) দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাবের সামনে নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটান মিলের শেয়ার হোল্ডার স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পলাশ বলেন, জয়নাল আবেদীন আবারও হুমকি দিচ্ছে ১৫ তারিখে মধ্যে চলে যেতে হবে । সে কিভাবে মাইকিং করে শেয়ার হোল্ডারদের উচ্ছেদ করার এতবড় সাহস তাকে কে দিলো। যদি কোন শেয়ার হোল্ডারদের গায়ে কোন একটা আঘাত আসে তাহলে সড়কে আগুন জ্বলবে এবং নারায়ণগঞ্জে সমস্ত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এমন কর্মসূচি দেয়া হবে, যার সমস্ত দায় দায়িত্ব জয়নাল আবেদীনকে নিতে হবে। আমারা এও দাবি জানাচ্ছি আগামী ১৫ তারিখের আগেই তার গ্রেফতারে দাবি জানাচ্ছি।
পলাশ বলেন, নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের শ্রমিকদের শেয়ার হোল্ডার করার মাধ্যমে মালিক বানানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া বিক্রির মাধ্যমে শেয়ার হস্তান্তর হয়েছে। শেয়ার হোল্ডারদের চুক্তির মধ্যে বা আইনে উল্লেখ্য আছে। এই শেয়ার কারো কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। কিংবা বিক্রি করা যাবে না । যদি হস্তান্তর করা হয় কিংবা বিক্রি করা হয় তবে সেটি সরকারের কাছেই দিতে হবে। অন্য কারো কাছে দেয়া যাবে না। জয়নাল যদি অবৈধভাবে এই শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার কিনে থাকে। আমরা অনতিবিলম্বে এই শেয়ার কেনা বাতিলের দাবি জানাই।
লক্ষী নারায়ণ কটন মিল শেয়ার হোল্ডার স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিতে এবং শেয়ার হোল্ডার প্রদীপ দাসের সঞ্চাচলায় বিজয় চন্দ্র, নিধু কমল দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় চন্দ্র সরকারসহ সকল শেয়ার হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।