বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা ভয়াবহ দুঃশাসনের পাথর আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। এ পাথর আমাদেরই সরাতে হবে। অন্য কেউ এসে এই পাথর সরিয়ে দেবেনা। আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে হবে। সোমবার যশোরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় স্মরণ সভার। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় , আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিয়ুর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ১১ জেলার শীর্ষ বিএনপি নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ বিনা অপরাধে ২০ মাস ধরে কারাগারে আটক। সারাদেশে আওয়ামী নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা। ২৬ লাখ মানুষ আজ আসামি। ইলিয়াস আলীসহ ৫শ’য়ের বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছেন। একটা ভয়াবহ দুঃশাসন আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধ হয়ে এই পাথর সরাতে হবে। যারা নির্বাচিত নয়, জনগণ যাদেরকে ভোটে নির্বাচিত করেনি। তারা কোনদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেরাই এখন নিজেদের দুর্ণীতি খুঁজে বের করছেন। তারা শুদ্ধ ও পরিশুদ্ধ মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটা কখনোই বদলানো যাবেনা। দেশের মানুষ জেনে গেছে দূর্নীর্তির হোতা কারা। ক্যাসিনোর মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। কানাডায় বেগম পাড়া বলে একটি পাড়া তৈরি হয়েছে। যেখানে তাদের লোকজন বাড়ি করছে, মালয়েশিয়া ও ইংল্যান্ডে বাড়ি করছে।’
প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা একই স্কুলে সহপাঠি ছিলাম। সমাজ পরিবর্তনে, মানুষের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য, স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করার জন্য, মুক্ত একটি সমাজ নির্মানে আমরা একসাথে ছিলাম। তিনি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন, আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলাম।’