সমুদ্র এখনও উত্তাল, এখনও বড় বড় ঢেউ আসছে। সমুদ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুটিংয়ে যাচ্ছি না আমরা। এখানে এখনও ৪-৫ দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। স্বাভাবিক হলেই শুটিং শুরু করবো।
এই মুহূর্তে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থান করছেন চঞ্চল চৌধুরী। সেখান থেকেই রবিবার দুপুরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বললেন আয়নাবাজি খ্যাত এই অভিনেতা। বাংলাদেশের সর্দক্ষিণের এই দ্বীপে অবস্থান করেই গভীর সমুদ্রে গিয়ে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ ছবির শুটিং করা হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল‘ এর কারণে গোটা দেশ যখন আতঙ্কিত তখন প্রবালদ্বীপে আটকা শুটিং ইউনিট। হাওয়া ছবিতে অন্যতম চরিত্র করছেন চঞ্চল চৌধুরী।
চঞ্চল বলেন, ‘ছেঁড়াদ্বীপ থেকে থেকে আরো অনেক গভীরে আমাদের চলে যেতে হয়। যেখান থেকে কোনো মাটি দেখা যায় না। সমুদ্রের তীরের মানুষের গল্প নয় এটা, একদম সমুদ্রের গভীরে চলে যাওয়া জেলেদের গল্প ‘হাওয়া।’ আমাদের গল্পের দৃশ্যায়ন যাতে নিখুঁত হয় এজন্যই এতো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।’
ঝুর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘আমরা গত পরশু যখন শুটিং শেষ করে ফিরছি তখন সমুদ্র স্বাভাবিক নেই। যে ট্রলার সমুদ্রের গভীরে আমাদের নিয়ে যায় সেটা এসে ঘাট থেকে দূরে নোঙ্গর করতে পারছিল না। বড় ট্রলার থেকে নেমে আমাদের ছোট ট্রলারে উঠে ঘাটে যেতে হবে কিন্তু। কিন্তু ঢেউ এতো বেশি যে আমরা কোনোভাবে ছোট ট্রলারে উঠতেই পারছিলাম না। মানে ঢেউ এসে আমাদের ওপরে উঠিয়ে দিচ্ছিল। ৭-৮ ফিট ওপরে উঠে যচ্ছিল যার কারণে কোনোভাবেই লেবেলিং হচ্ছিল না।’
চঞ্চল বলেন, ‘সে এক কঠিন অভিজ্ঞতা আমরা ফাইনালি ঘাটে উঠে আসতে পেরেছিলাম কিন্তু এমন ঢেউয়ের কবলে এর আগে পড়িনি। আর গতকাল (শনিবার) তো আমরা হোটেলের বাইরেই যেতে পারিনি। কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা আমাদের খোঁজ খবর রাখছিলেন। হোটেলের জানালা পর্যন্ত খুলতে পারিনি। বন্দী সময় কেটেছে। তবে আজ বেটার ওয়েদার। কিন্তু ঢেউ রয়েছে। সমুদ্র এখনো উত্তাল। স্বাভাবিক হলেই শুটিং শুরু করবো।’
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও ‘হাওয়া’ ছবির শিল্পীদের মধ্যে এখন সেন্ট মার্টিনে রয়েছেন, নাজিফা তুশি, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, রিজভি, নাসির, মাহমুদ প্রমুখ।