নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোট প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেছেন, গত কয়েকদিন আগেই আমি কলাগাছিয়া ইউনিয়নবাসী হয়েছে। আমার মৃত্যুর পর লাশটি এই কলাগাছিয়া এলাকাতেই দাফন করা হবে। আমার সহ ধর্মিনী নাসরিন ওসমান নিজেও মৃত্যুর পর আমার পাশে এই কলাগাছিয়াতেই থাকবেন বলে ইতোমধ্যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অতীতে এলাকার উন্নয়ন কাজে আমার একটি জিনিস ভুল ছিল। আমি সাধারণ মানুষের সাথে কথা না বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ গুলো করেছি। কিন্তু অতীতের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করতে চাইনা। ভবিষ্যতে আমি প্রতিটি এলাকায় গিয়ে আমাদের সাথে বসে আলোচনা করে আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমার ভবিষ্যত কর্মকান্ড পরিচালনা করবো।
২৩ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ৪টায় বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নিশং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর উপলক্ষে ইউনিয়ন বাসীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি সেলিম ওসমান আরো বলেন, কলাগাছিয়া স্কুলটিকে ৪ত ভবন করা হবে। ৭টি ইউনিয়নে স্কুল নির্মান করেছি। আমার ভাই নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর আমি আপনাদের গোলামী করার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি নিজে হারাম খাই না আর কাউকে হারাম খেতে দেই না। আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইব না। আপনার ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দিবেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের ইউনিয়নে একজন প্রার্থী আছে। উনি আমাকে ভয় পায়। আমি বলেছিলাম এইটা মুক্তিযোদ্ধার হাত। আমি স্বাধীনতা বিরোধীদের থাবার কথা বলেছি। তিনি ৫টি এমপি নিয়ে সমাবেশ করেছে। আমি কোন সভা করেনি। সেলিম ওসমান মানুষের সাথে কথা বলে। আর আকরাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনিতো আমলা ছিলেন। টেবিলের নীচে হাত নিয়ে অভ্যাস। আপনি এলাকার উন্নয়নের চিন্তা করবেনই কিভাবে। এ আসনে নাকি নাগরিক ঐক্যজোটের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। গিরগিটির মত এত রং বদলান তিনি ভাবাই যায়না। আবার মার্কা লাগিয়েছেন ধানের শীষ।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি। এ মাটিতেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল। আর আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোথায় এটা সবারই জানা। অতএব আকরাম সাহেবদের একা জন্ম হয়নি এ মাটিতে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে অথচ নির্বাচনের পরের দিন আকরামকে খুজেই পাওয়া যাবেনা। তিনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে। ওখানে বসে তিনি মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই বলছি খোচা দিবেন না। খোচা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করা সৈনিকরা কখনো আকরামকে ভোট দিবেনা।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা সভাপতিত্বে ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবু জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ.রশীদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান। আরো উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, জাপা নেতা নূর নবী ওসমানী, সমাজ সেবক মাইনউদ্দিন আহাম্মেদ, জাপা নেতা আব্দুস সালাম, সফি ঢালী, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎত হোসেন, জাপা নেতা হুময়ান কবীর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।