নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা দেশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাদের না ধরে চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। চুনোপুঁটি না ধরে মন্ত্রী এমপি আর আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে তাদের বাড়ি ঘর তল্লাশি করলে হাজার কোটি অবৈধ টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনের রাস্তায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এড. সাখাওয়াত আরো বলেন, রাতের অন্ধকারে সিল মেরে ক্ষমতায় এসে এই অবৈধ সরকার আদালতকে তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে আর আদালতকে ব্যবহার করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছে। সেই সাথে বাংলার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। কিন্তু প্রহসনের নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু হয়েছে। যে টাকা উপার্জণ করার জন্য মেহনতী মানুষকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে, সেই টাকা এই সন্ত্রাসী লীগের নেতারা কুচি কুচি করে ছিড়ে রাস্তায় আর ডোবা নালায় ফেলে দিচ্ছে। দেশের সকল ব্যাংক লুট করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী লীগের নেতারা। পাশ্ববর্তী একটি দেশের পুতুল সরকার দেশের মানুষের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যাদের শ্রমে আর ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে সেই শ্রমিকদেরই আজ কোন অধিকার নেই। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপণ করছে। দেশের বেশীরভাগ কল কারখানা আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শ্রমিকদেরকে মুক্তি দিতে হবে। আর বাংলার জনগনকে এই অবৈধ সরকারের নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে হলে সবার আগে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্যে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে বেগম জিয়াতে মুক্ত করে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আর সে আন্দোলনে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সবাইকে সে আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা গুলজার হোসেন খান, মনির হোসেন খান, সলিমুল্লাহ বাবুল, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, বন্দর থানা বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন শিশির, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম রিপন, পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, রাসেল রানা, সহ সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, তথ্য ও গবেষনা বিসয়ক সম্পাদক সজিব খন্দকার, সহ যোগাযোগ সম্পাদক নবু হোসেন, সদস্য এড. ওমর ফারুক নয়ন, জেলা যুবদল নেতা রোমান হোসেন, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অপু রহমান, জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, মহানগর পরিবহন দলের সভাপতি শহিদ হোসেন, হোসিয়ারি শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মতিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারি, বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, রূপগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের সভাপতি ইদ্রিস আলী । আরোও উপস্থিত ছিলেন মো. শাহাবুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সম্রাট হোসেন সুমন, জসিম উদ্দিন, নবু হোসেন, শাকিল গাজী, আঃ জলিল শিকদার, লিংকন খান, দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, আবে জম জম মোল্লা, নুর হোসেন, মোহাম্মদ রনি, মোঃ মোক্তার, আল আমিন, মোঃ ফয়সাল, সাখাওয়াত হোসেন জ্যাকি, মো: আবদুল্লাহ প্রমুখ ।