প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সেক্রেটারী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপন। মঙ্গলবার ৯ মার্চ গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় সহিদুর রহমান স্বপন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহবাস জানান এবং যারা এ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা সংবাদের নেপথ্য কারিগর তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সহিদুর রহমান স্বপন বলেন, আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁয়ের আপামর জনসাধারণের কাছে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব। দলমত নির্বিশেষে তিনি সকল মানুষের বিপদে এগিয়ে আসেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে সোনারগাঁয়ে যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন, তার পরবর্তীতে কেউ তার অর্ধেকও করতে পারেনি। আর তাই প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। কিন্তু কোন বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রচারনায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় আজহারুল ইসলাম মান্নানের জনপ্রিয়তাকে ম্লান করতে পারবে না। আর যারা সে চেষ্টা করবে আর ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইবে তাদের উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। তাই সময় থাকতে তাদের সাবধান হয়ে যেতে বলবো অন্যথায় সোনারগাঁয়ের আপামর জনগন তাদের প্রতিরোধে মাঠে নেমে আসবে।
উল্লেখ্য “মান্নানের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ” শিরোনামে নারায়ণগঞ্জের একটি অন-লাইন পোর্টালে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান।
অনলাইন পোর্টালটিতে সংবাদ প্রকাশে বলা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে গত দুই দশকে প্রায় ডজন খানিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকান্ডের সঙ্গে বেশির ভাগ জড়িত রয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের লোকজন ও তার আত্মীয়স্বজনরা।
এ বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আমার পরিবার রাজনীতির সাথে জড়িত এ কথা স্বীকার করতেই হবে কিন্তু আমার পরিবারের সদস্য ও আত্নীয়স্বজনরা হত্যা মামলাতো দূরের কথা অতীতেও কোন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ছিলোনা। পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকায় সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়। এতে আমার কোন হাত নেই এমনকি এ ঘটনা কখন ঘটেছিলো সেটাও পত্রিকার খবর পড়ে আমি জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২০ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইদুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার সাথে আজহারুল ইসলাম মান্নান তার পরিবার ও আত্নীয়স্বজনরা জড়িত নন। আজহারুল ইসলাম মান্নান একজন সৎ ও দক্ষ রাজনৈতিক নেতা, তার সম্মান নষ্ট করার জন্যই একটি কুচক্রী মহল ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে দেয়ার জন্য পায়তারা করছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, আধিপত্য বিস্তার, একটি কোম্পানির বালু ভরাট ও এনজিও সংস্থার একটি স্কুল স্থাপনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষে সমর আলী নামের একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন গ্রুপের সাথে জজ মিয়া ও বরকত মোল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সাদেক মিয়া আহত হয় এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয়। আহত সমর আলীকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজহারুল ইসলাম মান্নানের ব্যক্তিগত পিএস সেলিম হোসেন দিপু বলেন, মান্নান সাহেব পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ কোন ভাবেই এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। আমরা এই অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।