নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ কারখানা গুলো পরিবেশনের ছাড়পত্র বা ইটিপি প্লান ছাড়াই চলছে । ডাইং কারখানা গুলোতে ব্যবহৃত পানি পরিশোধন না করে রং মেশানো রঙিন পানি ড্রেনের মাধ্যমে আশপাশের ফসলি জমি ও এলাকায় ফেলানোর ফলে আবাদী ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং পানির সাথে রং করা বিষাক্ত বর্জ্যের উৎকট দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষণ হয়ে নানা রোগ ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে।
আড়াইহাজারের উপজেলার বান্টি বাজার এলাকায় প্রায় ১৫ বছর যাবৎ খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইং সহ অধিকাংশ ডাইং ফিনিশিং কারখানা গুলো পরিবেশন অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই সেগুলো চলছে। যেগুলোতে চালু রয়েছে সে গুলোতেও প্রয়োজনীয় মেডিসিন ব্যবহার না করে রঙিন বিষাক্ত পানি সরাসরি পার্শ্ববর্তী আবাদী ফসলি জমিতে ফেলে পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে চলেছে।
এদিকে ভূক্তভোগী সাইফুল ইসলাম ( ২০ নভেম্বর ) ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । পরে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০ ) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ মোতাবেক ২৪ নভেম্বর খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং কের প্রোপাইটার নজরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠায় ।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার বলেন, আমাদের কাছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ভূক্তভোগী ব্যক্তি এবিষয়ে অভিযোগ করেছেন । আমরা ইতিমধ্যে খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং কে কারন দর্শানো নোটিশ দিয়েছি । তারা কোন জবাব দেইনি । আমরা আবারও নোটিশ পাঠানো । যদি জবাব না দেয় তাহলে আমরা মোবাইল কোর্টের পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো ।
ভূক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ পনের বছর যাবৎ বান্টি বাজার এলাকায় খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইং সহ অধিকাংশ ডাইং ফিনিশিং কারখানা গুলো পরিবেশন অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ও ইটিপি থাকলে ছাড়াই সেগুলো চলছে। এই দুই ডাইংকের ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যালমুক্ত পানির কারনে আমাদের এলাকার প্রায় দশবিঘা ফসলি জমি নষ্ট ও আশপাশের বসতবাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে । পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পরও থেমে নেই । গাছপালা ও বায়ু দূষণ হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট ।
তিনি আরও বলেন, আমরা এলাকাবাসী কয়েক দফা খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইংকের মালিকদের মৌখিক ভাবে জানিয়ে কোন লাভ হয় নাই । বরং তারা উল্টো আমাদের কে ভয়ভীতি পরিদর্শন করেন । দীর্ঘদিন যাবত এ প্রক্রিয়া চলে আসলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। এ অবস্থা যাদের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।