বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে তারাব পৌরসভা বিএনপি’র কর্মসূচি বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি’র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরো তারাব পৌর এলাকায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মহড়া ও মিছিল। এবং একই স্থানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থাকায় তারাব পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
জানাগেছে, জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারাব পৌরসভা বিএনপি। আজকে সকাল ১০টায় বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু একই স্থানে একই সময়ে তারাবতে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ দুই দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারনে তারাব পৌর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
সকাল থেকেই তারাব বিশ্বরোড, বরাব বাস স্ট্যান্ড, বারপা বাস স্ট্যান্ড অবস্থা নেয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসকল স্থানে শোক দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। আর বিএনপি যাতে কর্মসূচির নামে কোন প্রকার অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ এমনটাই জানাগেছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে পূর্বনির্ধারিত সময়েই আজকে সকাল দশটায় তারাব পৌরসভা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ বরপা বাস স্ট্যান্ডে আমাদের কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। আজকের কর্মসূচির বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু আমাদের একই স্থানে আওয়ামীলীগের কর্মসূচি থাকায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে দিন তারিখ ঠিক করে কর্মসূচি পালন করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাব পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আজকে তারাব পৌর বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। সে অনুযায়ী আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে হঠাৎই আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর জন্য আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তারা পুরো তারাব পৌরসভা এলাকার প্রতিটি স্থানে আমরা যাতে কর্মসূচি না করতে পারি তার শোক দিবসের কর্মসূচির নামে অবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুদিন যাবৎ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হুমকি- ধামকি দিয়ে এসেছে যেনো কর্মসূচি পালন না করে। গেলে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হবে হুঁশিয়ারি দেন। তারা পুরো তারাব এলাকায় কয়েকশ মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর নিয়ে মহড়া দেয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে মিছিল করেছে।