নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের বাজারে ইলিশের বিপুল সমারোহের কারনে অন্যান্য মাছের দামও কমেছে। দীর্ঘদিন ধরে চড়া পেঁয়াজ ও কয়েক ধরনের চালের দামও কমতির দিকে। বিভিন্ন প্রকার মাংশ ও সবজির দামও স্থিতিশীল বলে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের বাজার গুলোতে ঘুরে।
নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবু বাজারের মাছ বিক্রেতা হাসান মিয়া জানান, ভরা মওসুম হওয়ায় এই বাজারে ইলিশের দাম অনেক কমেছে। ছোট আকারের ইলিশের হালি (ওজন প্রায় দুই কেজি) এক হাজার টাকা। বড় আকারের (প্রতিটি এক কেজির বেশি) ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকায়। ছোট আকারের ইলিশগুলো দুই সপ্তাহ আগেও হালি বিক্রি হয়েছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। বড় ইলিশগুলো তো সাড়ে তিন হাজার টাকার নিচে চিন্তাই করা যেত না। একদিকে সাগরে মাছ ধরা পড়ছে বেশি। অন্য দিকে কালকের মধ্যেই মাছ বিক্রির তাড়া আছে । তাই দাম এভাবে পড়ছে। আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন ক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ শিকার, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত ও কেনা-বেচা নিষিদ্ধ থাকবে।
ইলিশের দাম কমার সত্যতা মিলল ক্রেতাদের কথাতেও। সোহেল নামের এক ক্রেতা জানান, এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ তিনি কিনেছেন ২৮০০ টাকায়। অন্য সময় এই মাছ কিনতে কমপক্ষে ৩২০০ টাকা প্রয়োজন হত।
একই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্রস পেঁয়াজের পাল্লা (পাঁচ কেজি) ১৭০ টাকা, দেশী ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ক্রস পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজ ৩ টাকা কমেছে বলে জানান তিনি। বাজারে চালের দাম কমার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে মিনিকেট চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) অন্তত দেড়শ টাকা করে কমেছে। অন্যান্য চালের দামও কিছুটা কমেছে। ভালো মানের মিনিকেটের বস্তা ২৪৫০ টাকা, পাইজাম ১৯৫০ টাকা, বিআর আটাশ ১৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোয় সবজির দামে খুব একটা হেফের দেখা যায়নি এই সপ্তাহে।