নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
চীফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বারান্দায় জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ তার সাবেক স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা ও তার দেবরের হাতে লাঞ্ছিত করার মামলায় সাবেক স্বামী আবু নকীব ও দেবর আবু নাছের নিপুনের আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
বৃহস্পতিবার ( ২২ আগষ্ট ) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন । সি আর মামলা নং ৪৬৬/১৯ ।
এ সময় এড. জাসমিন আহমেদের পক্ষের আইনজীবীরা ছিলেন, সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম এ রশিদ ভূঁইয়া, এড. আঃ বারী ভূঁইয়া, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. আলী আহম্মদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এড. মোহসীন মিয়া, এড. সেলিনা ইয়াসমিন, এড. সুলতানুল আরেফিন প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, ২৯মে বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বারান্দায় জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ তার স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা ও তার দেবরের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এক পর্যায়ে জাসমিন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান অন্যান্য আইনজীবীরা।
এর আগে গত ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ এডিএম জ্যোতিকা যুথি সরকারের কক্ষে একটি মামলার বিষয়ে শুনানি করতে গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দ্বারা এই মারধরের শিকার হন নারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ।
তবে ওই সময় এডিএম তার কক্ষে ছিলেন না। তার সহকারী আবদুর রহমান দাবি করেছেন ওই সময় এডিএমের কক্ষে কেউ ছিল না। ওই দিনও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জাসমিন আহমেদ।
মামলা সূত্রমতে, সন্তানদানে অক্ষম জেনেও জাসমিন আহমেদের সঙ্গে ২০০৭ সালের ১৪ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকিব। বিয়ের পর স্ত্রীর কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার উপর অত্যাচার করতে থাকেন স্বামী।
গত ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্বামী আবু নকিবের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ। ওই মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ এডিএমকে দায়িত্ব দেন।
ওই মামলায় জাসমিনের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকিবকে প্রধান আসামি করা হয়। নকিব ছাড়াও নকিবের ভাই মো: নাছের নিপুণ, বোন জুবরিয়া বেগম, অপর ভাই মো: আবু নোমান সজন ও ভাইয়ের স্ত্রী শিরিন আক্তার হিরাকে আসামি করেন জাসমিন আহমেদ।