নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপি সাপ খেলায় হেরে গেছে। ওদের বাংলাদেশের মাটিতে আর কিছু করার নাই। বাট যেহেতু ওরা এখনো চেষ্টা করছে। ওই ইনফরমেশন আমার কাছে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা আমার নেত্রী আমার মা শেখ হাসিনা এবং তার বোন আমরা যাকে ছোট আপা বলি। তাদের কান্না কেউ দেখেনি। এরা তো মানুষ, উনারা তো ফেরেশতা না। মাত্র ২১ বছর বয়সে আমাদের নেত্রী দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর তখন হত্যা করা হয় তার পরিবারকে। আমার আরেক বোন রেহেনা আপা উনার বয়স তখন ১৭-১৮ বছর হবে। উনি উনার কষ্টটা বুক থেকে ছাড়তে পারেনি। আমি ওদের (বিএনপি-জামায়াত) মানুষের কাতারে রাখি না। ২০১৩-১৪ সালে ৩ হাজার ৩৬ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নং ওয়ার্ডে থানা আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরাও তো একসময় ক্ষমতায় ছিলাম। বিএনপি যখন ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় ছিলো তখন আমাদের উপর কি নির্মম অত্যাচার না করেছিল। আমাদের লোকজন কিভাবে হত্যা করা হলো। আমরা কত লাশ কাঁধে নিলাম তা সবাই জানে।
শামীম ওসমান বলেন, ৭-৮ বছর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে খেলা হয়েছিল। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি করা হয়েছে এমন কথা বলে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এই দুর্নীতির সাথে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা জড়িত। সেদিন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ করে বলেছিল, তার দলের লোক দুর্নীতি করে না। আর সেটা আদালতে প্রমাণ হয়েছে। যে তাদের দেয়া বক্তব্য মিথ্যা এবং বানোয়াট। শেখ হাসিনার আত্মসম্মানে যখন আঘাত লেগেছে তখন তিনি বলেছিলেন, তোমাদের এখন আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করবো। তারপরও বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে সেটা আটকানোর চেষ্টা করেছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নারায়নগঞ্জ জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামীম আরা লাভলী, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, আদমজী জুট মিলের সাবেক ম্রমিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন রেনু প্রমূখ।