প্রথম ইনিংসে ডান-হাতি অফ-স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের স্পিন বিষের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান শামারাহ ব্রুকস। ব্রুকসের ১১১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে কর্নওয়াল ও রোস্টন চেজের স্পিন বিষে পড়ে মহাবিপদে পড়েছে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৯ রান। এমন অবস্থায় আফগানিস্তান ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ১৯ রানে এগিয়ে থাকায় জয়ের পথে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরআগে প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের ১৮৭ রানের জবাবে ব্রুকসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৭৭ রানে অলআউট হয়েও লিড নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আফগানিস্তান। লক্ষ্ণৌতে প্রথম দিনই অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৭৫ রানে ৭ উইকেট নেন কর্নওয়াল । জবাবে ২ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১১৯ রানে পিছিয়ে ছিল ক্যারিবীয়রা। জন ক্যাম্পবেল ৩০ ও শামারাহ ব্রুকস ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ক্যাম্পবেল ৫৫ রানে আউট হলেও, টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ব্রুকস। ক্যাম্পবেলের পর ব্রুকসের সাথে বড় জুটি গড়েন উইকেটরক্ষক শেন ডওরিচ। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। ক্যাম্পবেল-ব্রুকসের জুটি ছিল ৮২ রানের। ব্রুকস ১১১ ও ডওরিচ ৪২ রান করে আউট হন। ফলে ২৭৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামযা ৭৪ রানে ৫ উইকেট নেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই পাঁচ উইকেট শিকারের স্বাদ নেন হামযা। এছাড়া অধিনায়ক রশিদ খান ৩টি ও জহির খান ২টি উইকেট নেন।
চা-বিরতির আগে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। এরপর দিনের শেষ সেশনে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও জাভেদ আহমাদি। দলকে ৫৩ রানের সূচনা এনে দেন তারা। জাদরানকে ২৩ রানে আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম সাফল্য এনে দেন প্রথম দিনের নায়ক কর্নওয়াল। জাদরানের বিদায়ের পর মিনি ধস নামে আফগানিস্তানের ইনিংসে। ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ফলে ৫৩ রানের সূচনার পরও ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। পতন হওয়া ৪ উইকেটের মধ্যে ৩টিই নিয়েছেন কর্নওয়াল।
এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন ওপেনার আহমাদি ও নাসির জামাল। নিজের ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন আহমাদি। দিনের শেষভাগে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও নেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষভাগে চেজের স্পিন বিষে পড়ে বিদায় নিতে হয় আহমাদিকে। শুধু আহমাদিকেই নয়, আফগানিস্তানের আরও দুই উইকেট শিকার করে চাপ বাড়িয়ে দেন চেজ। আহমাদি ৬২, নাসির জামেল ১৫ ও হামযা ১ রান করে আউট হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কর্নওয়াল-চেজ ৩টি করে উইকেট নেন।