নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, চায়নিজে একটা কথা আছে চেঞ্জ অর ডাই। আমি পরিবর্তন করো নয়তো মরো। আমি পরিবর্তন করতে চাইছিলাম তাই নির্বাচন করতে চাই নাই। কিন্তু আমাকে আবারো নির্বাচন করতে হচ্ছে। যদি আবুল কালাম সাহেবের সাথে নির্বাচন করতাম তাহলে একটু গর্ভ লাগলো উনি তিনবারে সংসদ সদস্য। বিএনপির ভাইয়েরা আমি আগেই বলে ছিলাম একবার তৈমুর আলম সাহেবকে কোরবানী দেওয়া হয়েছে এবারো জোড়া কোরবানী দেওয়া হবে। আমার কালাম ভাই উনার যদি কিছু নাই থাকতো তাহলে আমি শপথ গ্রহণ করে উনার বাসায় গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে ছিলাম প্রকাশ্যে। উনার কিছু আছে। উনার বাবা এমপি আমারো বাবা এমপি।্ আজ দেখা যেত এই মাঠে যারা এসেছেন এদের অর্ধেক আমার কাছে আর অর্ধেক কালাম সাহেবের কাছে নয়তো তিন ভাগের দুই ভাগ কালাম সাহেবের কাছে চলে যেত।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় বন্দরের ২৪নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একইদিন তিনি বিকেল ৪টায় ২২নং ওয়ার্ড এলাকায় বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ এবং ২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এলাকায় হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, বাংলাদেশ যখন রাজাকারদের আইনী বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিচ্ছিলো তখন পাকিস্তানে বসে ইমরান খান বলে এটা সহ্য করা যায় না। তাই তারা টাকা দিয়ে ঠিক করলেন ড.কামাল হোসনকে। ড. কামাল হোসেন আবার বেছে বেছে লোক ঠিক করলেন যারা জুয়ার বোর্ডে পয়সা খরচ করে যাদের টাকা না দিলে তার টাকা ঠিক রাখা যাবেনা। যার কারনে আজকে বিএনপির নেতারা মনোনয়ন পান না। মনোনয়ন পান চিটা ধান ওয়ালারা। এটা খালেদা জিয়ার ধানের শীষ না। বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আমি উনাকে সম্মান করি। দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে সুস্থ্য রাখেন। আমি আশারাখি আগামীতে আবারো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে যেমন করে উনি হেফাজতে ইসলামের সাথে, ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমে বিএনপির সাথে আলোচনায় বসেছেন। ঠিক তেমনি হয়তো উনি বেগম খালেদা জিয়ার সাথেও সাক্ষাত করবেন একটি সুব্যবস্থা গ্রহন করবেন! বিএনপির মানুষ রাজাকার না। আপনাদের দেশকে ভালবাসেন, আপনাদের নেত্রীকে ভালবাসেন। ড. কামাল হোসেনের মত ব্যক্তিদের কথায় ওইসব লোকদের প্রশ্রয় দিবেন না।
অপরদিকে ২২নং ওয়ার্ডের বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমি ফুল নিতে আসি নাই। আমি এলাকার মানুষের জন্য গোলামী করতে এসেছে। আমি নিজের হারাম খাই না কাউকে হারাম খেতেও দেই।
উক্ত আলোচনা মঞ্চ গুলোতে নিজের ভুল ভ্রান্তি জানতে স্থানীয়দের মঞ্চে ডেকে তুলেন এমপি সেলিম ওসমান।
যার মধ্যে ২৪নং ওয়ার্ডে ষাটোর্ধ একজন বৃদ্ধ মঞ্চে উঠে শামসুজ্জোহার সাথে রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। তারা বলেন শামসুজ্জোহা প্রচন্ড ধীশক্তি ও দূরদর্শী ছিলেন। তারই সুযোগ্য তিন পুত্র নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। আমরা ওসমান পরিবারকে ভালোবাসি। এই ভালোবাসা দিয়েই আপনাকে নির্বাচিত করবো।
অপরদিকে ২২নং ওয়ার্ডে ৬৭ বছরের একজন বৃদ্ধ মঞ্চে তার বক্তব্যে বলেন, আমার বয়স বর্তমানে ৬৭ বছর। স্বাধীনতার পর ৩৭ বছরেও বন্দরে এমন উন্নয়ন দেখি নাই। যে উন্নয়ন বর্তমানে সেলিম ওসমানের মাধ্যমে বন্দরে হয়েছে। আগামী নির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমান বন্দরে শতকার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে বলে আমি আশা করছি।
২০ নং ওয়ার্ডে কদমরসুল কলেজের শিক্ষার্থী স্মৃতি বলেন, আমাদের দাদু ভাই এমপি সেলিম ওসমান আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যা করেছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। উনার কাছে কিছু চাইতে হয়না। উনি এমনিতেই প্রয়োজনীয় উন্নয়নের কথা গুলো বলার আগে বুঝে নেন এবং চাওয়ার আগে আমরা প্রত্যাশা গুলো পেয়ে যাই। আগামী নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের সবাইকে আমাদের দাদু ভাই এমপি সেলিম ওসমানকে আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে সকলের প্রতি আহবান রাখছি।
উপস্থিত মহিলাদের মধ্যে দুজন মহিলাকে মঞ্চে ডেকে তাদের কাছে এলাকার সমস্যা জানতে চাইলে তারা কাইতখালি বিদ্যালয়টিকে ৪ তলায় উন্নীত করার অনুরোধ জানান। তাদের মধ্যে একজন বলেন, আমি দেখেছি তিনি নিজের পাঞ্জাবি দিয়ে অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়েছেন। এই ধরনের এমপি আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। তার ভালো হোক। আমরা ৩০ তারিখের নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে জয়ী করবো। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম ওসমান বলেন, যিনিই এখানকার এমপি হন না কেনো তিনি যেনো এলাকার মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করেন। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, পরিচালক আল আমিন হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর শিরীন বেগম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক ইফাত জাহান মায়া, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগে সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছালিমা হোসেন শান্তা, সাধারণ সম্পাদক সখিনা বেগম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা।