সাইমন সাদিক। যখন ক্যারিয়ারের এক দশক পূর্ণ করতে যাচ্ছেন তখনই মিলল জাতীয় স্বীকৃতি। জান্নাত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। এক দশক আর জীবনের সেরা প্রাপ্তি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই সাইমনের। বলছেন এক দশকে এটাই তার সেরা অর্জন।
সাইমন ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছেন, শুরু করেছিলাম ২০১০ সালে সনামধন্য প্রযোজনা সংস্থা আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের জনাব আব্বাসউল্লাহ শিকদার সাহেবের মাধ্যমে আমার ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজু স্যারের হাত ধরে প্রথম সিনেমা ‘জ্বি হুজুর’ দিয়ে। হাটি হাটি পা পা করে প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ার জীবনে উনাদের মাধ্যমেই পরিচিত হয়েছি অনেক জ্ঞানীগুণী প্রযোজক, পরিচালক শিল্পী ও টেকনিশিয়ান’দের সাথে। কাজ করেছি বহু প্রিয় ব্যক্তিত্বের সাথেও।
নির্মাতা মানিকের সঙ্গে পরিচয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, এর সূত্র ধরেই পরিচয় ঘটে আমার অনেক প্রিয় পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ভাইয়ের সাথে, উনাকে পরিচালক না বলে আমার বড়ভাই বলতেই আরাম পাই বেশি, সম্ভবত ভাইও এতেই আরামবোধ করেন বেশি,যতটুকু দেখি-বুঝি। মানিক ভাইয়ের সাথে কাজ করে কখনোই মনে হয়নি শুটিং করছি, মনে হয়েছে বাস্তব জীবনের অংশ হিসেবেই তো এ-সবকিছু ঘটে যায় মানুষের জীবনে। আমারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের ভাষা হয়তো আমার জানা নেই! কেননা, মানিক ভাই তথা আমাদের এই ‘জান্নাত’ টিমের সকলের পরিশ্রমের ফলস্বরূপই যে আমি অর্জন করেছি আমার চলচ্চিত্র জীবন তথা আমার অল্প জীবনের সেরা অর্জন- ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’।
সাইমন বলেনব, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বাক্য হয়তো আমার জানা নেই, শুধু এতটুকু বলবো – ‘আমি আবেগাপ্লুত’। ভালোবাসি আপনাদের, ভালোবাসি আমার সকল প্রযোজক, পরিচালক,সহশিল্পী,টেকনিশিয়ানদের,যারা আমাকে নিয়ে কাজ করেছেন এবং করছেন। আপনাদের এই ভালোবাসা ও দোয়ায় আজীবন আবেগাপ্লুত হতে চাই, কাজ করে যেতে চাই। ভালোবাসায় পাশে থাকতে ও রাখতে চাই আমৃত্যু। ধন্যবাদ আমার সকল প্রিয়জনদের। আপনাদের প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা আর সম্মান। আমার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন এবং অনেক অনেক ভালো থাকবেন