নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
শনিবার ( ১৪ অক্টোবর ) সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করে।
অনশন কর্মসূচির শুরুতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকা অবস্থায় তাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। এই সরকার অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করাতে দেয় না। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করার আগ্ৰহ প্রকশ করেছে। অথচ এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে মারা যেতে পারে, তাতে কি আসে যায়। আমি বলতে চাই আপনার মধ্যে কোনো রহম নাই। আপনাকে সেই এজিদের সাথে তুলনা করা যায়। আপনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চাচ্ছেন। সুতরাং আজকের অনশনে থেকে বলতে চাই আপনি যতই চেষ্টা করেন খোদা যদি বাঁচিয়ে রাখে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের পতন আসন্ন। আপনি দেশকে লুটেপুটে খেয়ে ফেলেছেন। দেশটাকে শূন্য করে দিয়েছেন। আজকের দেশের সব টাকা এমপি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারের এই দুর্নীতি টাকায় ছেয়ে গেছে যে দেশে যাবেন সেই দেশেই তাদের দুর্নীতির টাকা পাওয়া যাবে। সরকারের পতন হলে আপনারা দেখতে পারবেন এই সরকারের দুর্নীতির টাকা কিভাবে প্রকাশ হয়। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জোর দাবি জানাচ্ছি আর না হলে সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
এসময়ে অনশনে বক্তারা বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। আর যদি বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয় তাহলে এর সকল দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের যৌথ সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ বারী ভূঁইয়া,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,
সহ- দপ্তর সম্পাদক মিলন ঢালী, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।