নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপরি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, যেদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে তার সাথে সাথে এই সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে । তাই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে ভয় পাচ্ছে। আদালতকে ব্যবহর একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে প্রায় দুই বছর হলো বেগম জিয়াকে কারাগারে রুদ্ধ করে রেখেছে। তাই বলতে চাই অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পিছনে বালুর মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে একটি লুটপাটের আখড়ায় পরিনত করছে। তাদের মন্ত্রী এমপিরা গ্রেস করে খাচ্ছে। তাদের লুপ্ত দৃষ্টি সাধারণ মানুষে উপর পরেছে। সর্বত্র স্তরে দুর্র্নীতে ছেয়ে গেছে। বালিশ কাহিনী পর্দা কাহিনী সহ পদ্মা সেতুতেও দুর্নীতি । প্রত্যকটি জায়গায় দুর্নীতি থেকে শুরু করে, ধর্ষণ, হত্যা, খুম, গুন, রাহাজানি ও লুটতরাজে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, গণভবন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি আর সেক্রেটারিকে নিষিদ্ধ করেছে। এই ভাবে বিশ্বাস করি শুধু ছাত্রলীগ নয় তাদের দিনে দিনে যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ সকল মন্ত্রী ও এমপিদের জন্য গণভবনের দরজা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে। তারা জণগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তারা ভুয়া মামলা করতে করতে তারা শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে এক চুনা পটি দিয়ে তারেক জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারি করেছে। সবই জনগণের কাছে পরিস্কার। আমরা এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রত্যাহারে দাবি করছি। তা নাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুনরুল ইসলাম রবি, মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, লুৎফর রহমান আব্দু, কাজী শহিদুল ইসলাম টিটু, নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক এম এ আকবর, আইন বিয়ষক সম্পাদক এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার, জেলা বিএনপির যুব বিয়ষক সম্পাদক আশরাফুল আলম রিপন, সহ যুব বিয়ষক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, অর্থ বিয়ষক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন অনু, সদস্য নুর নাহার বেগম, লুৎফা বেগম, শাহিনুর আক্তার, সালমা ইসলাম কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত মোল্লা, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন প্রমুখ।