নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর বাস ভবন বাইতুল আমানে আওয়ামীলীগের জন্ম। আর দেওভোগ হচ্ছে আওয়ামীলীগের দূর্গ। অনেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আমি নাকি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পিঠে হাত দেই না। আমি বলতে চাই আমার থেকে বড় আওয়ামীলীগার নারায়ণগঞ্জে আর কে আছে? আমি আওয়ামীলীগের সাথেই আছি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পিঠে হাত দিবো কেন তাদের সাথে আমি বুকে বুক মিলিয়ে থাকতে চাই।
১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউট মাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সভায়, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোটেক হোসনে আরা বেগম বাবলী, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত সহ বক্তারা আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সেলিম ওসমানের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার আহবান জানান। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি সেলিম ওসমানকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। যেখানে নৌকা নাই সেখানেই লাঙ্গলই শেখ হাসিনার মার্কা। আর যেখানে লাঙ্গল নাই সেখানে নৌকাই লাঙ্গল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে আমরা আওয়ামীলীগ তথা মহাজোটের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান দেওভোগ এলাকার প্রয়াত গুনীজনদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যার মধ্যে পৌরপিতা আলী আহম্মেদ চুনকা, জানে আলম, নিজাম আলম, আলম চাঁন মুন্সি, নাজিম উদ্দিন মাহমুদ, সুলতান মাহমুদ লিলো মল্লিক, শাহাবুদ্দিন মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম, জামির উদ্দিন জমু। সেই সাথে তাদের সাথে বিজড়িত স্মৃতির কথা তুলে ধরে বলেন।
গুনীজনদের স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ৭৫’র পরবর্তী সময় আমাদের পরিবারের যখন দু:সময় তখন আমিনুল চাচা রাতের অন্ধকারে আমাদের বাসার সামনে চাল ডালের বস্তা ফেলে আসতেন। আমরা ঢাকার বকশিবাজারে চলে যাওয়ার পরও যথাস্থানে চালের বস্তা থাকতো। সেখান থেকেই চাল সংগ্রহ করে নিয়ে আমাদের সংসার চলেছে। আমিনুল চাচার সহযোগীতায় ১৮ মাস আমাদের পরিবার চলেছে। আলম চাঁন মুন্সি চাচাকে ছাড়া আমার বাবা শামসুজ্জোহা কোন মিটিং মিছিলই করেন নাই। উনি খুব সৌখিন মানুষ ছিলেন মাঝে মাঝে উনাকে আমি এসে বাবা থেকে নিয়ে যেতাম। আর পৌর পিতা আলী আহম্মদ চুনকা চাচা। উনার সাথে সম্পর্কটা চাচা ভাতিজার হলেও উনার সাথে আমার বন্ধুর মত মধুর সম্পর্ক ছিল। সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। এই দেওভোগের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত আছে। আমার দাদার বাসায় আওয়ামীলীগের জন্ম হলেও দেওভোগ হচ্ছে আওয়ামীলীগের দূর্গ।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ, মনোয়ার হোসেন মনা, এম.এ সাত্তার, খবির উদ্দিন আহম্মেদ, রাশেদুর রহমান রাশু, এম সোলায়মান, রাশেদ সারোয়ার, আহসান হাবিব, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, সাফায়েত আলম সানিসহ স্থানীয় বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।