নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের আল-আমিন নগর মসজিদ গলি এলাকার সন্ত্রাসী শামীম হোসেন অভী ও সাইফুল ইসলামের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন উত্তর চাষাড়া এলাকার চকলেট ফ্যাক্টরীর মোড় এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে বিপ্লব হোসেন। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা মামলায় একটি মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় দুই নং আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর ১৪ জুলাই রবিবার আদালত থেকে জামিন পেয়েই বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে মুল আসামি সন্ত্রাসী শামীম হোসেন অভীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাড়া চকলেট ফ্যাক্টরী মোড় এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ঢুকে তার ছেলে বিপ্লব হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে শামীম হোসেন অভী ও সাইফুল ইসলাম। তারা আল আমিন নগর মসজিদ গলি এলাকার রুজিনার বাড়ির ভাড়াটিয়া হোসেন মিয়ার ছেলে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়- ওইদিন সন্ধায় জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ঢুকে সাইফুল ইসলাম কিলঘুুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাইফুল বিপ্লবকে ঝাপটে ধরলে সন্ত্রাসী অভী তার পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘর থেকে ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ছাড়াও আসামিরা যাবার সময় বাদী জাহাঙ্গীর আলমকে আইনের আশ্রয় নেয়া হলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে যায়।
মামলায় আরও উল্লেখ্য করা হয়- জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ের সঙ্গে ৪ বছর পূর্বে আসামি শামীম হোসেন অভীর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২১ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ২ মাস পূর্বে তার মেয়ে বাবা বাড়িতে চলে আসে। এর আগেও মাদকদ্রব্য সেবন করে জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় অভী আসলে তাকে বাসা থেকে চলে যেতে বললে গালিগালাজ করতো।
এ ঘটনায় তদন্ত শেষে ১২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে। মামলায় ২নং আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের রবিবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান। জামিন পেয়ে বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেপ্তারের একদিন পরেই জামিন পেয়ে গেছে আসামি সাইফুল। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জামিন পেয়েই আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল বলেন, মামলায় ২নং আসামি সাইফুলের নাম সহযোগী হিসেবে এজাহারে উল্লেখ্য থাকলেও ৩৪ ধারা সংযোজন করা হয়নি। আমরা আসামির জামিনের বিরোধীতা করেছিলাম। আদালত জামিন দিয়েছেন।