সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : আড়াইহাজার থানার একটি নাশকতার মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাচ্চুসহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ।
এক বিবৃতিতে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া বলেন, এই অবৈধ সরকারের গায়েবি মামলায় সারাদেশে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আজ কারাবন্দি। এই সকল মামলা হামলা জবাব রাজপথে দিবে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইনশাল্লাহ এই অবৈধ মিডনাইট সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দিদের মুক্ত করবো। অবিলম্বে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাচ্চু, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাতগ্ৰাম ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব রিপন মেম্বার, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সদস্য মাসুম মিয়া,হাইজাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোবারক হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ( ১৫ জনুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জগলুল হোসেনের আদালতে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক ১৭জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বাকী ৬জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর প্রাপ্তরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাচ্চু, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাতগ্ৰাম ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব রিপন মেম্বার, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সদস্য মাসুম মিয়া,হাইজাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর আড়াইহাজারে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলাটি করেছেন। এর আগে ২৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর আড়াইহাজার সড়কে ছাত্রদল একটি মশাল মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছাত্রদলের ২জনকে আটক করে৷ এ সময় ৬২টি মশাল উদ্ধার করা হয়৷ পরে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়৷