নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র এবং বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ভোট চুরিতে ওস্তাদ। তারা ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখবে। তাই সকলকে ভোটের আগের রাত থেকেই ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটের দিন ভোট দিয়ে ভোটের হিসাব গুণে বুঝে নিয়ে কেন্দ্র ছাড়তে হবে। জেগে উঠতে হবে নারায়ণগঞ্জবাসীকে, ভয় পওয়ার কোন কারন নেই। মনে রাখতে হবে মানুষ একবারই মরে, বারবার মরে না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আজকে বহু বাঁধা আর প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছে। আমাদেরকেও নারায়ণগঞ্জে আসতে বহু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুিখ হতে হয়েছে। তবুও নারায়ণগঞ্জবাসী সফলভাবে এ জনসভার আয়োজন করায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
মীর্জা ফখরুল আরো বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েকহাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের ১৬ জন প্রার্থী এখন কারাগারে অথচ নির্বাচনের আগে প্রধাণমন্ত্রীর সাথে ঐক্যফ্রন্টের আলোচনায় প্রধাণমন্ত্রী আমাদের আশ^স্ত করেছিলেন তফসিল ঘোষনার পর কোন গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি। তাহলে তাকে কি আমরা সত্যবাদী বলবো! নারায়ণগঞ্জের মানুষকে মনে রাখতে হবে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জাতিকে স্বৈরাচারী দু:শাসন থেকে মুক্ত করার নির্বাচন, গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার নির্বাচন। তাই সকল ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি পুলিশ, র্যাব, বিজিব আর সেনাবাহিনীকে বলবো আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। কারন আপনারা জনগনের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই জনগনের স্বার্থে কাজ করুন, কারো নির্দেশে জনগনের বিরুদ্ধে যাবেন না। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে ঠুটো জগন্নাথ। তারা সরকারের নির্দেশ পালনে ব্যস্ত। তাই তাদেরকে বলবো সময় থাকতে কোমর সোজা করে দাড়ান আর না পারলে চলে যান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা কাজী জফরুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ -১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ – ২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ -৪ (ফতুল্লা – সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ -৫ (সদর-বন্দর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এস এম আকরাম, সাম্যবাদী দলের মহাসচিব কমরেড সাইদ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, মহানগর বিএনপির নেতা এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা যুবদল নেতা ইমরান কাউছার, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম আহমেদ বাবুসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ।