সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মহানগর যুবদল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিগত সময়ে সন্ত্রাসী ওসমান পরিবারের আশ্রয় প্রশ্রয় থাকা দালাল চক্র চাঁদাবাজি, লুটপাট আর ভূমিদস্যুতার মহোৎসব চালিয়েছে। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের এই লুটপাট বন্ধ হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে বন্দর এলাকায় সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তাই এই চাঁদাবাদ চক্র ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোেহসেনের আদালতে আহত নূর হোসেনের চাচাতো ভাই শাহাদাৎ হোসেন শেখ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বন্দরের তিনগাঁও এলাকায় পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলায় উল্লেখ কার টিপু ছাড়া অপর আসামিরা হলেন বন্দর বিএনপি নেতা শাহেন শাহ, আসাদুজ্জামান বাদল, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সম্পাট হোসেন সুজন, রাজু আহমেদ, শাহিন, ইকবাল হোসেন, মো জাহিদ খন্দকার, যুবদল নেতা সাগর প্রধা সুজন, মো. রহমত।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনা ঘটার আগে থেকেই সদস্য সচিব টিপু, শাহেন শাহ ও বাদলের হুকুমে সুজন বাদীর চাচাতো ভাই নূর হোসেনকে। মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন নূর হোসেন এই টাকা না দেওয়ায়। সুজন, রাজু ও শাহিন তাকে খুন করার হুমকি প্রদান করে চলে যান। পরবর্তীতে গত ৬ সেপ্টেম্বর পশু হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা আবারও তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুনরায় সে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজন পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করেন। এসময় বাকি আসামিরা চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এলে আসামিরা হুমকি প্রদান করে চলে যায় এবং তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।