নাট্যধারা’র ২৭ বছরে পদার্পণ এবং সৃজনশীল নাট্যতরুণ তনুশ্রী পদক’১৯ প্রদান উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মযজ্ঞ আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর এক্সপেরিমেন্টাল হলে শুরু হচ্ছে। থাকছে তিনদিনের নাট্যোৎসব এবং আনন্দযজ্ঞ।
২৮ তারিখ বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাকের চিরায়ত বাজনার তালে তালে বেলুন উড়িয়ে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন ২৭টি নাট্যসংগঠনের ২৭ জন গুণী নাট্যকর্মী। এরপর নাট্যধারা প্রবর্তিত তনুশ্রী পদক প্রদান অনুষ্ঠান।
অকাল প্রয়াত নাট্য ও নৃত্যশিল্পী তনুশ্রীর স্মৃতি ও অবদানকে বিস্মৃত হতে দিতে চায় না নাট্যধারা। প্রাণবান তারুণ্য ও সৃজনশীলতার প্রতীক তনুশ্রীকে অনাগতকালের তারুণ্য ও সৃজনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই নাট্যধারা যোগ্যতম সৃজনশীল নাট্যতরুণের মূল্যায়ন, স্বীকৃতি, উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণায় প্রবর্তন করে ‘তনুশ্রী পদক’। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রদান করা হয় এই সম্মাননা।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অকালপ্রয়াত শিষ্যা তনুশ্রী গায়েন স্মরণে তনুশ্রী বন্দনা পরিবেশন করবেন গুরু কবিরুল ইসলাম রতন এবং নৃত্যসংগঠন নৃত্যলোক। তনুশ্রী পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির স্থান অলংকৃত করবেন সম্মানিত নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সাম্মানিক সভাপতি বিশ্ব আইটিআই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিশু একাডেমির সম্মানিত চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নাট্যজন লাকী ইনাম, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেল কামাল বায়েজীদ, অঞ্জনসের কর্ণধার শাহীন আহমেদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই আনন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অশোক নগর, ভারতের নাট্যব্যক্তিত্ব তাপস ব্যানার্জী এবং কলকাতার নাট্যব্যক্তিত্ব দেবাশীষ দত্ত। নাট্যধারার প্রধান সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মিজুর সভাপতিত্বে তনুশ্রী পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সমতট নাট্যদল মঞ্চস্থ করবে পালানাটক ‘উজান ভাইটাল কইণ্যা’।
তিনদিনব্যাপী নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিনে উৎসব শুরু হবে বিকাল ৪টায়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন ভারতের ত্রিপুরার নাট্যজন উত্তম সাহা এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল চন্দন রেজা। এরপর ভারতের কলকাতা থেকে আগত ইফটা মঞ্চস্থ করবে ‘ডিয়ার পাপা’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী। ‘ডিয়ার পাপা’ নাটকের প্রথম প্রদর্শনী ৪টা ১৫ মিনিটে এবং দ্বিতীয় প্রদর্শনী ৭টা ১৫ মিনিটে।
নাট্যোৎসবের তৃতীয় এবং শেষ দিনে ডঃ আফসার আহমেদ এবং বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরার সমাপনী বক্তব্য শেষে মঞ্চস্থ হবে নাট্যধারার নাটক ‘চার্লি’। জীবনদর্শন ও সামাজিক বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে ফুটে উঠেছে ‘চার্লি’ নাটকের প্রধান চরিত্র চার্লির। জীবনের পথে সব ঘাত-প্রতিঘাতে হাসিমুখে বেঁচে থাকার মন্ত্র ছড়িয়েছে চরিত্র। লিটু সাখাওয়াতের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটির মাধ্যমইে শেষ হবে নাট্যধারা’র ২৭ বছরে পদার্পণ এবং সৃজনশীল নাট্যতরুণ তনুশ্রী পদক’১৯ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাট্যোৎসব।