নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানি আইএসআই এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভয়ংকর নাশকাতা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।
নাশকতার এসব ঘটনা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের ধানের শীর্ষে জমিয়েত ইসলামের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে। তাই তার ওপর কোন ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র যাতে না হয় এবং সে লক্ষ্যে কাসেমীকে নির্বাচনী সকল কার্যক্রমে সর্বোচ্চ নিরপত্তার দেয়ার জন্য প্রশাসন কে আহবান জানিয়েছেন শামীম ওসমান। একই সাথে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশকৃত দেশী বিদেশী অপশক্তির প্রতি কড়া নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সাংসদ শামীম ওসমান ।
মঙ্গলবার ( ২৫ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের রাইফেল ক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য দেন। ব্রিফিং শেষে শামীম ওসমান উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে জেলা রিটানীং অফিসার নিকট আবেদন করেন।প্রেস ব্রিফিং এ শামীম ওসমান আরো বলেন, দেশে নির্বাচন বানচালের জন্য তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআইএ সহায়তায় নিয়ে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটাতে চাইছে। এজন দেশের বিভিন্ন জেলার মত নারায়ণগঞ্জকেও সে টার্গেট করেছে। আর টার্গেট পরিপূর্ণ করতে বেছে নেয়া হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী কাসেমীকে। এ মর্মে তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্থানে ও বাসায় পাকিস্তানি নাগরিক নিয়ে গোপন বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জেলায় নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা ঘটানো হবে। এ জন্য দেশী বিদেশী কিছু অপশক্তি জেলায় ইতমধ্যে প্রবেশ করেছে। আর এ জন্য প্রার্থী কাসেমী বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কম করছে । কিন্তু কাসেমী বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মধ্যে দামী দামী গাড়ীর মধ্যে অচেনা অজানা লোকদের সঙ্গে মিটিং করছে। ওই সব গাড়ীর নেম প্লেট পর্যন্ত নেই। শামীম ওসমান বলেন, আরো অবাক হচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে কারো ওপর আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরণের বাধা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু কাসেমী নাটক সাজিয়ে অভিযোগ করছে তার ওপর হামলা হচ্ছে। তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার এসব কর্মকা-ে প্রতীয়মান হচ্ছে ও আমার কাছে প্রাপ্ত তথ্য মিল পাচ্ছি যে তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কর্মকা-মাত্র। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ১৬ জুন বোমা হামলাটি আমার ওপরই হয়েছিল। তাই কোন ঘটনার আশংকটা আমি আগে টের পাই। তারা যে কোন মানুষের ওপর হামলা করতে পারে। হতে পারে তারা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ বা সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই জেলাকে টার্গেট করে কোন নাশকতা ঘটিয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করা। আর এটা তারেক জিয়া দ্বারা সম্ভব। কেননা ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুরো পরিকল্পনা ছিল এই নরঘাতকের। ইতিমধ্যে বিচার কার্যক্রমে দন্ডিত হয়ে নাটের গুরু হিসাবে সে চিহ্নিত হয়েছে। শেষতক তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, যেহেতু প্রার্থী কাসেমীকে নির্ভর করে ভয়াবহ হামলার আশংকা করছি সেহেতু কাশেমীকে নির্বাচনী সকল কর্মকা-ে কঠোর নিরাপত্তা দেয়াসহ জেলায় দেশী ও বিদেশী অপশক্তির প্রতি প্রশাসনের কড়া নজরদারির দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে কাসেমীর মাধ্যমে কোন নাটক রচিত হতে না পারে। তিনি সাংবাদিকদের অবগত করে জানান, এ মর্মে তথ্য ও অভিযোগুলোর লিখিত একটি চিঠি জেলা রিটানীং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।