নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের শপথ করিয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শনিবার ( ২৭ অক্টোবর ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় এ. কে.এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি এ শপথ করান। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সাথে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
“জেগেছে নারায়ণগঞ্জ,জেগে ওঠো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই শ্লোগান নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী, আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসীকে জাগ্রত করতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এ জনসভার আহবান করেন। জনসভা উপলক্ষে দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রঙ বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনাসভাস্থলে যোগদান করতে শুরু করেন।
জনাসমাবেশে বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন বাঞ্চাল করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তাদের মোকাবেলা করার জন্য এই জনসভার আহবান করা হয়েছে।
এসময় ড: কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, তিনি ২০ দলের সাথে ঐক্যজোট করেছেন। উনারা নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেন নাই। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের ফতুল্লায় কর্মসূচী ছিল, সেটা হয় নাই। তবে সেদিন ফতুল্লায় চেকপোস্টে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার ও গাজীপুরে মন্ত্রীর প্রোগ্রামের আগের রাতে। এসব ঘটনার জন্য মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, কি চান আপনারা ? ওরা ২১ আগষ্টের হামলাকারীদের ক্ষমতায় আনতে চায়।
তিনি আরো বলেন, যদি কেউ মনে করেন বাংলাদেশে মানচিত্রের উপর আঘাত করবেন, যদি কেউ মনে করেন আমার নেত্রীর উপর আঘাত করবেন, যদি কেউ মনে করেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর হামলা করবেন, বাংলাদেশের মানুষকে আগুনে জ্বালিয়ে বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করা চেষ্টা করবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলি, হুকুম দেয়ার পরে আপনাদের বাড়ির একটি ইটও বাংলাদেশে থাকবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা আপনাদের কাছে মাথা নত করবো না। আমরা পরাধীন হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসি নাই। আপনারা প্রস্তুত থাকবেন, নভেম্বরর প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশ সমস্ত হায়না এবং শকুররা আঘাত করবে, চেষ্টা করবে অস্থিতিশীল করতে। নির্বাচন তাদের লক্ষ্য না। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন বন্ধ করা। তারা অন্য কিছু স্বপ্ন দেখছেন।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লা বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম ভুইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যক্ষ ডঃ শিরীন বেগম, মহানগরের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শেখ সাফায়াত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান সহ বিভিন্নঅঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।