নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বিএনপির চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের বাঁধার মুখে পরেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। কয়েক হাজার নেতাকর্মীসহ এড. সাখাওয়াত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পুলিশের বাঁধার মুখে অবরুদ্ধ থাকার পরে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে চেয়ারপার্সণের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেন এড. সাখাওয়াত।
বিএনপির চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ১২ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী মানবন্ধনের কর্মসূচির ডাক দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হয়। কিন্তু পুলিশ এসে নেতাকর্মীসহ এড. সাখাওয়াতকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
পুলিশের বাঁধার মুখে নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্লাব মার্কেটের বারান্দায় অবস্থান নেন সাখাওয়াত। এ সময় মার্কেটের বারান্দা থেকে নেতাকর্মীদের নামতেও বাঁধা দেয় পুলিশ। পুলিশের বাঁধার মুখে ক্লাব মার্কেটে অবরুদ্ধ হয়ে পরেন নেতাকর্মীরা। প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পরে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে দাড়িয়ে যান সাখাওয়াত। এ সময় কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী তার সাথে রাস্তায় দাড়ায় বাকীরা মার্কেটের বারান্দায় দাড়িয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে শ্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের গনতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ। এদেশের মানুষের গনতান্ত্রীক সকল অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা রাপথে দাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে চাইলে সেখানেও বাঁধা দেয়া হচ্ছে, কাইকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। দেশের মানুষ আজ এই স্বৈরাচারী সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সণ ও তিনবারের সফল প্রধাণমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি। বাংলার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নামেও মিথ্যা মামলা দায়ের করে দেশকে বিএনপি শূণ্য করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এদেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবো।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ৩০ জানুয়ারী ভোটের নামে দেশের মানুষের সাথে প্রহসন করেছে। ভোটের আগের রাতেই তারা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে এবং অসংখ্য মিত্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নাজেহাল করে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। তাই এই ভূয়া নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দেশের লক্ষ লক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, গুলজার হোসেন খান, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আমানউদ্দিন আমান, বন্দর থানা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম রিপন, পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক সজিব খন্দকার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান, মহানগর মৎসজীবী দলের আহবায়ক জাহাঙ্গির আলম রতন, যুগ্ম আহবায়ক লিংকন খান, ঋষীকেশ মন্ডল মিঠু, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এসএম আসলাম, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হোসেন রাজ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, মহানগর তাতী দলের আহবায়ক মীর আলমগীর, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক এড. কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, অপু রহমান, জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের আহবায়ক এমকে সুমন, ছাত্রদল নেতা লিংরাজ খান, সুমন হাওলাদার, মো: ফয়সাল আল আমিন ভূইয়া, সম্রাট হোসেন সুজনসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।