নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
অবশেষে টানা ৪০ ঘণ্টা চেষ্টার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন নরসিংদীর মাধবদী আস্তানার দুই নারী জঙ্গি।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় আফজাল হোসেন এর বাড়ি থেকে এই দুই নারীকে বের করে আনা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে পাশ্ববর্তী শেখের চরের ভগিরথপুর এলাকায় বিল্লাল মিয়ার বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে দুই জঙ্গির লাশ। সোয়াতের অভিযানে নিহতরা নব্য জেএমবির সদস্য বলে ধারণা পুলিশের। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলেও তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় ভগিরথপুরের আস্তানায় শুরু হয় অভিযান ‘গরডিয়ান নট’।
এর আগে মাধবদী ও শেখেরচরের বাড়ি দুটি ঘিরে রাখে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র্যাব। সোমবার রাত থেকে বাড়ি দুটি ঘিরে রাখার পর মঙ্গলবার সকাল ১২ টা থেকে শেখের চরের ভগিরথপুর মাজার বাসস্ট্যান্ডের চেয়ারম্যান সড়কের ৫ তলা ভবনে অভিযান শুরু হয়। এতে অংশ নেয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ‘সোয়াত’। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়।
দিকে নরসিংদীর মাধবদী থানার গাঙপাড় এলাকার একটি ৭ তলা ভবন ও জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সোমবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি দুটি ঘিরে ফেলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও পুলিশ সদর দপ্তরের ল’ ফুল ইন্টারসেপশন সেলের সদস্যরা। খবর পেয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় র্যাব। এরপর রাতভর বাড়ি দুটি ঘিরে রাখা হয়। ভোরে ঘটনাস্থলে পৌছায় ‘সোয়াত’ টিম। তাদের সাথে যোগ দেয় বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, এখনো পুরোপুরি সার্চ করা হয়নি। তাদের ব্যাক প্যাক, ব্যাগ এগুলোর কিছু কিছু রয়ে গেছে, যেগুলো সার্চ চলছে। বোম্ব ডিসপোজাল টিম ঢুকছে। সেটি শেষ হলে হয়তো তারপরে বলতে পারবো। তবে আমাদের ধারণা এখানে কোন শিশু নেই।
সকাল থেকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানায় পুলিশ। অভিযান শুরুর আগে নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়। বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ। বাড়ি দু’টির ৫শ গজের মধ্যে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
মাধবদী থানার গাঙপাড় এলাকার ৭ তলা ভবনের মালিক আফজাল হোসেন এবং ভগিরাথপুরের পাঁচতলা ভবনের মালিক বিল্লাল হোসেন নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।