নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চুরির মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ও ২ নং রেল গেইট এলাকার চাঁদাবাজ হিসাবে পরিচিত আলামিন (৩২)।
গতকাল সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলা নং- ২৫(১১)১৯।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আলামিনের বিরুদ্ধে চুরির মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসছিলো। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে আলামিন আটক হয়েছে এমন খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে সৈয়দ আলী চেম্বার রোডস্থ ফুটপাতের কয়েকজন হকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ হকাররা বলেন, ওকে (আলামিন) পুলিশ গ্রেফতার করেছে আমরা শুনে খুব খুশী হয়েছে। আলামিন দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ফুটপাতে উৎপাত চালিয়ে যাচ্ছিল। সে এই এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবসার নামে ফুটপাতে চাঁদাবাজি করতো এবং পুরো এলাকায় নিজেকে ফুটপাতের স্বঘোষিত নেতা বলে দাবি করতো। তার সাথে নাকি জনৈক আওয়ামীলীগ নেতার ভীষণ সখ্যতা ছিলো বলে সে নিজে দাবি করতো। ঐ নেতার সাঙ্গ-পাঙ্গরাও এ ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে বলে দাবি হকারদের। ভয়ে তারা কেউ এ নেতার নাম বলতে রাজী হয় নি। তবে, গত বছরের ৫ আগস্ট এই আলামিন ও ইসমাইল নামে দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শহরের দেওভোগ এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে জাহিদ হাসান সিকু ঐ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিলো- জাহিদ সহ আরো ৪ জন পার্টনার মিলিত হয়ে হকার্স বিদ্যুৎ বিতায়ন নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এটি অবস্থানরত ছিল ২নং রেলগেট সংলগ্ন চেম্বার রোড ফকিরটোলা মসজিদের দক্ষিণ পাশে। অভিযোগে সিকু আরও দাবি করেন- আমার সহযোগী পার্টনারদেরকে সমাজের চোখে হেয় করার জন্য আমাদের নামে গত ২৯ জুলাই দুপুরে এসপির কাছে অভিযোগ দেন ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখী হয়। আরও দাবি করা হয়- আমার ২জন পার্টনার আলামিন ও ইসমাঈল খারাপ চরিত্রের বাড়াটিয়াদের নিয়ে মানহানিকর বিভিন্ন কর্মকান্ড করছে। লিখিত অভিযোগে জাহিদ সিকু বলেছিলেন, সরেজমিনে তদন্ত করলে আইনের লোক দেখতে পাবেন ফুটপাতে কারা চাঁদা তুলছে। চাঁদাবাজি করছে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা জি.এম আরাফাতের লোকজন। তারা হলো- টিটু ওরফে কেটু, রবিন, ফাহিম, সাহেদ সহ বেশকজন।