নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরিবেশ দূষণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছয়টি ডাইং কারাখানা এবং একটি রি-রোলিং মিলকে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রম্যামান আদালত।
র্যাব-পুলিশের সহায়তায় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসির নেতৃত্বে বৃহস্প্রতিবার সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান চালায়। এসময় ইটিপি প্লান্ট না থাকা, প্লান্ট থাকলেও ব্যবহার না করা এবং অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলে নদী ও খালের পানি দুষণের অভিযোগে এই সাতটি কারখানাকে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের দীর্ঘ ছয় ঘন্টাব্যাপী অভিযানে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার লামাপাড়া কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত রুপসী নীটওয়্যার এন্ড ওভেন ডাইং কারখানায় ইটিপি প্লান্ট থাকা সহ বজ্য মিশ্রিত পানি পরিশোধন না করে সরাসরি ডিএনডির খালে ফেলা, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না করায় ও মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দুষণের অভিযোগে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জমিরানা করা হয়। জরিমানার অনাদায়ে রুপসী নীট ওয়্যারের নির্বাহি পরিচালক রফিকুল ইসলামকে আটকের পর ব্যারেব গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করা হলে তিনি র্যাব ও পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন।
ফতুল্লার শিয়াচর এলাকায় অবস্থিত ফজর আলী ডাইংএন্ড প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারাখানায় কয়েক দফা সময় নিয়েও ইটিপি প্লান্ট স্থাপন না করা এবং বজ্য মিশ্রিত দূষিত পানি ফেলে পরিবেশ দুষণের দায়ে ৭০ লাখ ৩৩ হাজার ৪শ’ ৪০ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযোগে নন্দলালপুর জিএম ডাইংকে ২৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ও পারভেজ ডাইং কারখানাকে ২ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত একই মালিকের তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠান লবোম্বে ডাইং, বোম্বে টেক্সটাইল মিলস ও আল মোজাদ্দেদ রি-রোলিং মিলসকে পরিবেশ ও বায়ু দুষণের অভিযোগে ১৯ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার, র্যাব ১১ কালিরবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ (এএসপি ) মোস্তাফিজুর রহমানসহ পবিরেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।