নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
একজন সুশিক্ষিত মা’ই পারে একটি আধুনিক রাষ্ট্র উপহার দিতে। তাই সকল মায়েদের নিজ নিজ সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে তাদেরকে সুশিক্ষিত করতে এবং স্বামীদের পাশে থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসামন। তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবারে স্ত্রী যদি তার স্বামীকে অথবা মা যদি তার ছেলের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করেন তাহলে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে তিনি নারীদেরকে সমবায় ভিত্তিতে কাজ করার আহবান জানিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুরোধ জানান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাঢ়া হীরা মহলে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারীর সাথে মত বিনিময় কালে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত নারীদের প্রতি এমন আহবান রাখেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ওসমানের পরিবারের আরেক পুত্রবধূ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস সালমা ওসমান লিপি।
সেলিম ওসমান বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ৭টি স্কুল নির্মাণ করেছি। কদমরসুল কলেজ সরকারী হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ কলেজে নতুন আধুনিক ভবন নির্মিত হয়েছে। আমি ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, তাদের জন্যই আমি গত সাড়ে ৪ বছর কাজ করে গেছি। ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো। কিন্তু শুধু স্কুল কলেজ বানালেই চলবে না। সেখানে অবশ্যই আপনাদের সন্তানদের পাঠাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে ওরাই দেশের দায়িত্ব নিতে পারে। আর যেন আমার মত স্বল্প শিক্ষিত কোন মানুষকে এমপি হতে না হয়। সুশিক্ষায় শিক্ষিতদের হাতেই যেন ভবিষ্যত বাংলাদেশকে তুলে দিয়ে যেতে পারি এটাই এখন একমাত্র চাওয়া।
উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে অবশ্যই আপনাদের স্বামীর পাশে দাড়াবেন তাদেরকে সহযোগীতা করবেন। একজন পুরুষের সব থেকে কাছের বন্ধুটি হয় তাঁর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী মিলে মিশে কাজ করলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আসবে। আর একটি এলাকার উন্নত হতে হলে আগে পারিবারের উন্নতি করতে হবে। প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী হলে এলাকা এমনিতেই উন্নত হবে। আপনারা নারীরাই পারবেন একটি বাড়ি একটি খামার সম্পূর্ন রূপে বাস্তবায়ন করতে। আপনারা আপনাদের বাড়ি ছাদ, আশে পাশের জায়গা খালি না রেখে সেখানে কৃষির ব্যবস্থা করবেন। বাড়ির ছাড়ে মুরগি পালনের ব্যবস্থা করবেন। যদি এ ব্যাপারে আপনাদের জানা না থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের সব পদ্ধতি জানার ব্যবস্থা করে দিবো। আর আপনারা যাই করবেন সমবায় ভিত্তিতে করবেন। সমবায় ভিত্তিই হতে পারে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পদর্শক। নারীরা আজ আর পিছিয়ে নেই। সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদের দিকে তাকালেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, প্রফেসর শিরীন বেগম, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, নারী নেত্রী রোকসানা খবির, আঞ্জুমান আরা আকসির, মহানগর যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোটেক সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য নারী নেত্রীবৃন্দরা।