নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : যৌতুকের জন্য স্ত্রী সন্তানদের অস্বীকার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তারের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় একাধিক প্রতারনার মামলার আসামী মোসলেহ্ উদ্দিন ( ৫৩) কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।
বৃস্পতিবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণঞ্জ নারী ও শিশু দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সি. আর মামলা নং- ১৫০/২১। মোসলেহ্ উদ্দিন ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি হরিহর পাড়া এলাকার মৃত. কান্দু মিয়া ওরফে কামাল উদ্দিনের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক মো. আসাদুজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তারের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় আসামী মোসলেহ্ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠারোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফতুল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলামসহ একাধিত ব্যক্তির কাছে জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে বায়না নিয়েও তা না বুঝিয়ে দিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক প্রতারনার মামলাও রয়েছে । সি.আর মামলা নং- ৭২৬/১৭, ৬১২/১৯।
আদালত মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের অক্টেবরের ৩০ তারিখে মোসলেহ্ উদ্দিনের সাথে রুমা আক্তারের দশ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। এরপর আমাদের দুই ছেলে সন্তান জম্ম হয়। এর মধ্যে আমাকে বাদীকে নিয়ে বিবাদী বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাসায় থাকেন। এরপর বাদী তাহার পিতার বাড়িতে পাঠাইয়া দেন। তারপর আর কোনো খোজঁ খবর নেয় না। বাদী বিবাদীর খোজঁ খবর নিতে এলাকায় আসলে আমাদের বিয়ে ও সন্তানের কথা এলাকায় জানাজানি হয়। অত্রপর বিবাদী বাদীকে হুমকি ধামকি দেয় এবং সন্তানসহ অস্বীকার করে। পরে বাদীকে মারধর করে এবং দশ লক্ষ টাকা যৌতুন না পেলে বাদীনির সাথে সংসার করবে না বলিয়া সাফ প্রকাশ করে। বিবাদী দশ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে এবং সংসার করতে চাইলে বিবাদীকে দশ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে হবে। পরে বাদীনি বাধ্য হয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।