নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় এক আসামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আরও দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ( ৩ অক্টোবর ) সকাল পৌনে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান এই রায় দেন।রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসনের ছেলে মিঠু। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নোয়াদ্দা এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না এবং নোয়াদ্দা এলাকার বংগার ছেলে শয়ন।
জানা গেছে, বন্দরের কাইতাখালী এলাকার মৃত শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে মিজান সিকদার মিশর খুনের শিকার হন। সে গাজীপুরে একটি ডাইং কারখানায় কাজ করত। সে ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাওনা ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মিজান সিকদার মিশরের সাথে তর্ক-বির্তক হয় নোয়াদ্দা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুর । ২০১৯ সালে ২৩ জুলাই রাতে মশার কয়েল কিনতে দোকানে গেলে মিঠু ও তার সহযোগীরা মিজান সিকদার মিশরকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসিকিউশন শাওন শায়লা জানান, ঘটনার পরের দিন নিহতের ভাই সানি বাদী হয়ে মিঠুকে প্রধান আসামী করে মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জনের সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড, মুন্না ও শয়নকে যাবজ্জীবন প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের আরও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন, অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজা প্রদান করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই সানি বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এই বিচার দেখে আর কেউ কোন মায়ের বুক খালি করার সাহস না পায়।
এদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুন্নার মা শাহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপরাধী না, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ন্যায বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে যাবো।