নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
পুলিশের বাঁধায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেননি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ তাকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তিনি নীচে নেমে এলে জোর করে গাড়িতে তুলে দেয়।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি ) নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে ঘটে এই ঘটনা। এ সময় নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপার্সণ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
শনিবার (২৯ ফেব্রæয়ারি) বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এই বিক্ষোভ মিছিল। কিন্তু বিকেল তিনটা থেকেই নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে সদর থানা পুলিশ। আর নীচে নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে দফায় দফায় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের বাঁধার মুখেই কার্যালয় থেকে নীচে রাস্তায় নেমে আসেন এড. সাখাওয়াত। দলীয় চেয়ারপার্সণের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয় এবং এক প্রকার জোর করেই সাখাওয়াতসহ নেতাকর্মীদের তার গাড়িতে তুলে দেয়। ফলে পুলিশের বাঁধায় পন্ড হয়ে যায় নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি।
এ সময় এড সাখাওয়াতের সাথে আরো উপ¯ি’ত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মনির হোসেন খান, সাবেক জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান, মঞ্জুরুল আলম মুসা, মহানগর স্বে”ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক মীর আলমগীর, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক অপু রহমান, হযরত আলী, জেলা তাঁতী দলের সহ সভাপতি জামালউদ্দিন, যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম, জাহিদ, ফকরুল হাসান, বিপ্লব,ষনষষ সম্রাট হোসেন সুজষষনসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।