নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর ন্যূনতম শর্ত এখনো পূরণ হয়নি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার শামসুল হুদাসহ দেশের প্রায় সকল দল ও জনগণের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। এরকম একটা পরিস্থিতিতে একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবিকৃত সাত দফার বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণের জন্য আরো আলোচনা প্রয়োজন ছিল। সেই উদ্দেশ্যে আমরা দাবি করেছিলাম উভয়পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হোক। তাই আমরা যৌক্তিকভাবেই চেয়েছিলাম সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে। আমাদের দ্বিতীয় দফা সংলাপের আগেই নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে অংশীজন একমত হলে তফসিল পিছিয়ে দেবেন তারা। এতে সরকার আমাদের নির্বাচনের তফসিল পেছানোর আহ্বান সাড়া দেয়নি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে ৭ দফা দাবি আমরা এরই মধ্যে দিয়েছি, সে দাবি থেকে আমরা সরে আসছি না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বাচনে তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার দাবি। আমরা নির্বাচনের বর্তমান তফসিল ঘোষণা বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণা করার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, এসব দাবি আদায়ের সংগ্রাম জাতীয় ঐক্যফন্ট অব্যাহত রাখবে। সে আন্দোলন সংগ্রামের পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে জাতীয় ঐক্যফন্ট