নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী ভোটের মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের মাঠে সেনাবাহিনী থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে। তারা মোট ১০ দিন মাঠে থাকবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ভোটের মাঠে বিজিবি কবে থেকে নামবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘বিজিবির মাঠে নামা নিয়ে প্রস্তাব রেখেছি আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে। তবে কমিশনের কেউ কেউ বলছেন ২০ ডিসেম্বর, কেউ আবার বলেছেন ১৫ ডিসেম্বর থেকে। আসলে বিজিবি কবে থেকে মাঠে নামবে তা আগামী শনিবার ঠিক করবে কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে কেউ কেউ সুপারিশ করেছেন মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে। আপনাদের ভাবনা কী- এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এখানে আসলে নিয়ন্ত্রণ বলা যাবে না। তারা যেটা বলেছেন কার্ড ছাড়া যেন কোনো সাংবাদিক ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ না করে। কারণ হচ্ছে অনেকগুলো অনলাইন পত্রিকা আছে যারা ভুয়া। তারা যেন কেন্দ্রে প্রবেশ করার সুযোগ না পায়। কারণ তারা (ভুয়া সাংবাদিক) যে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করবে না এমনটা তো বলা যাবে না।’
ভোটের আগে পরে ইন্টারনেটের গতি ফোরজি থেকে টুজিতে নামিয়ে আনার ব্যাপারে পুলিশ ইসির প্রতি সুপারিশ করেছেন- এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা এই বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তবে আমাদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনাও নেই আপাতত।’
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা নিজ দলের প্রধানের বাইরে পোস্টারে অন্য কারো ছবি ব্যবহার করতে পারবে কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আইনগত বিষয়। তবে নিবন্ধিত দলগুলো তাদের দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, নাগরিক ঐক্য ইসির নিবন্ধিত দল নয়। সুতরাং দলটি যার ব্যানারে নির্বাচন করবেন সেই দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু গণফোরামের প্রধান কিন্তু ড. কামাল। তার মানে গণফোরাম চাইলেও খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না।’