নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান বলেছেন নৌকা মার্কায় কেনো ভোট চাইতে হবে? আমরা কি কাউকে ক্ষমতায় এসে মেরেছি। বরং স্বাধীনতা বিরোধী ওই জামাত-বিএনপি জোট সরকারের সময় আমাদের দলের লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসি হামলা করেছে। তাদের যদি আপনারা ক্ষমতায় আনতে চান তাহলে আমার কোন কথা নাই। রাজনীতির নামে যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের ভোট না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। তিনি ভোটাদের উদ্দেশ্য বলেন আপনারা সিদ্ধান্ত নিবেন কাকে ভোট দিবেন। যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ে তাদের নাকি যারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে তাদের। তিনি বলেন, আওয়মীলীগ মানুষের কল্যানে কাজ করেন। দেশের উন্নয়নে কাজ করেন। সুতরাং নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র -২ আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে গতকাল শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় এক নির্বাচনী কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি জামাত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় ঘটানো সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে এতো লোক মারলো আমাদের কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের কোন লোককে কিন্তু মারি নাই। আমার নেত্রীকে মেরে ফেলার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হলো। আমার নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা মেরে ২২জন লোক হত্যা করা হলো। কেনো? আমাদের রক্ত কি রক্ত না? আমাদের রক্ত কি নর্দমার পানি? তাহলে কেনো আজ ওই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি নামক অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এদিকে শামীম ওসমান বক্তব্য দেওয়ার আগে আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার লুৎফর রহমান কাকনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে সংর্বধনা দেওয়া হয়। লুৎফর রহমান কাকনকে গত ৬ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বর্ষসেরা রিপোর্টার হিসেবে পুরষ্কৃত করেন। লুৎফর রহমান কাকনকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাগরিক হিসেবে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমি মোল্লা, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ট্যাংক লরি মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন ও হাজী মনিক মাস্টার প্রমূখ।