নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ ও মুক্তির দাবিতে করা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মাহানগর বিএনপির প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে গেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় জড়ো হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার জামিন খারিজের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে অপত্তি জানিয়ে বাধা প্রদান করে। তাই পুলিশের বাধায় সেখানে দাঁড়াতে না পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতারা সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে অল্প কিছু সময় চাইলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। বরং বিএনপি নেতাদের হাত থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। সবশেষ পুলিশের এমন মারমুখী আচরণের বিপরিতে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে দিতে স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, আমরা প্রতিটি সমাবেশই শান্তিপূর্ণ ভাবেই করি কিন্তু আজকে এখানে আমাদের নেতাকর্মীদের এক মিনিটও দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। এটা সম্পূর্ণ স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাব। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের যেই রূপ সেই রূপটিই আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ। আজকে অপর দলগুলোর কোন স্বাধীনতা নেই। প্রতিটি দেশেই একটি বিরোধীদল থাকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য সরকারকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার আমাদেরকে সেই সমালোচনা করার সুযোগটা দিচ্ছে না। এখানে ভিন্ন মতের কোন জায়গাই নেই। কাজেই এই পরিস্থিতি থেকে জনগণ এখন মুক্তি চায়।
তিনি বলেন, আগামীকাল বিজয় দিবস লক্ষ প্রাণের বিনীময় অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাাধীনতার যেই চেতনা ছিলো; সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, রাজনীতি করার অধিকার আজকে আপনারা দেখেছেন সবকিছুই বুলন্ঠিত। আজকে ন্যুনতম অধিকারটুকু যেমন, আমাদের নেত্রী জেলে আমরা তার মুক্তির দাবিতে এখানে সমবেত হয়েছি। কিন্তু সেটাও আমরা করতে পারছিনা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ আকবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সহ-সাংগঠনিক রুহুল আমিন শিকদার, যুব বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিপন, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভঅপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন, জেলা যুবদল নেতা রাজু আহম্মেদ রমজান প্রমুখ।
এছাড়া, মহানগর বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আয়েশা সাত্তার, এডভোকেট রফিক আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।