নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: চাষাঢ়া জামতলা এলাকার প্রয়াত কামরান হোসেন রানার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান।
আজমেরী ওসমানের পক্ষে থেকে প্রয়াত কামরান হোসেন রানার একমাত্র কন্যা সাবরিয়া হোসেন জারা’র লেখাপড়ার পাশাপাশি তার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। একই সাথে সাবরিয়া হোসেন জারা’র ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিশ লাখ টাকা এফডিআর এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সোমবার ( ২৫ এপ্রিল ) সকালে এফডিআর এর যাবতীয় কাগজপত্র প্রয়াত কামরান হোসেন রানার স্ত্রী তানজিলা আক্তার ও তার কন্যা সাবরিয়া হোসেন জারাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হন কামরান হোসেন রানা। রানার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও সন্তানকে দুই মাস গৃহবন্দি করে নির্যাতন করার বাড়িতে বের করে রানার দুই ভাই তুহিন ও তুষার। এ ঘটনার পর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলাও হয়েছিল। তবুও প্রয়াত রানার স্ত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন বিচার পাইনি। টাকার অভাবে একমাত্র কন্যা সন্তান জারার লেখাপড়া ও চালাতে পারছিলেন না। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে আজমেরী ওসমানের নজরে আসলে তিনি প্রয়াত রানার কন্যা সন্তান জারার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। একই সাথে রানার পাওনা টাকা উদ্ধার করে তা তার কন্যার নামে এফডিআর করে দেন আজমেরী ওসমান।
এ বিষয়ে প্রয়াত স্ত্রী তানজিলা আক্তার জানান, আমার কন্যা সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে আমি ভেঙ্গে পড়ি এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকি। আমার দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান সাহেবের পুত্র আজমেরী ওসমান। আল্লাহপাক আজমেরী ওসমান সাহেব কে নেক হায়াত দান করুক। নারায়ণগঞ্জে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর মতো একজন মানুষই রয়েছেন আর তিনি হলেন আজমেরী ওসমান। বাকীরা শুধু মুখেই আশ্বাসই দেন কিন্তু আজমেরী ওসমান করে দেখিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেননা, বাস্তবায়ন করেন।