নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে স্তব্ধ হয়ে গেছে মানবসভ্যতা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশেও সরকারি বেসরকারি সহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় গরীব দিনমজুর মানুষ কষ্টে দিনাতিপাত কাটছে। এসব মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু ও পিয়াজ সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান। এছাড়াও এই দূর্যোগকালীণ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন এড. সাখাওয়াত এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা অব্যহত রেখেছেন। তবে অন্য সকলের মতো ফটোসেশনে তিনি বিশ্বাসী নন তাই নিরবে নিভৃতেই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন তার সহযোগিতার কার্যক্রম।
এ প্রসঙ্গে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এ লড়াইয়ে জিততে হলে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। নিজে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, অন্যকেও নিরাপদে রাখতে হবে। আমরা সবাই বেশী বেশী করে আল্লাহকে ডাকবো, ঘরে বসে ইবাদত বন্দেগী করবো। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমতে আমরা এই গজব থেকে মুক্তি পাবো।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে লক ডাউন চলায় অনেক লোক কর্মহীন হয়ে পরেছেন। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। সকল সামর্থবান মানুষের উচিত এসব অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা। তবে এক পোটলা খাবার দিয়ে বারবার ছবি তোলা উচিত নয়, এতে করে যিনি বিপদে পরে খাবার গ্রহন করছেন তিনি বিব্রত বোধ করেন। আল্লাহ রাব্বুল আরামিন বলেছেন তুমি দান করো এমনভাবে যাতে ডান হাতে দান করলে বাম হাত জানতে না পারে। তাই যত বেশী বেশী সম্ভব গোঁপনে দান করা উত্তম। এ ক্ষেত্রে আমাদের ফটোসেশন এড়িয়ে চলা উচিত।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিপদের দিনে সকলকে ঐক্য ধরে রঅকতে হবে। সকলে মিলেমিশে এই দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারন করে আগামী দিনের রক্ষ্যে এগিয়ে চলতে হবে। যেসকল নেতাকর্মীর চলতে সমস্যা হবে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করবেন, আমি আমার সাধ্যমতো সহায়তা করার চেষ্টা করবো আর এ কথা পুরোটাই গোঁপন থাকবে। যেভাবে দিনের পর দিন আমি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিনা পয়সায় আইনী সহায়তা দিয়ে গেছি, সেভাবে এই বিপদের দিনেও আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে সর্বত্র। স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই, ঘোষনা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছিলো সরকার, সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই সাথে দেশের সকল মার্কেট, সুপার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেছে দোকান মালিক সমিতি, বন্ধ রয়েছে গন পরিবহনও। শুধুমাত্র নিত্যপন্যের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী সব বন্ধ থাকবে সেসময়। করোনা ভাইরাসের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি রীতিমত ভয়াবহ। গত প্রায় এক সপ্তাহ যাবত পুরোপুরি লক ডাউন চলছে নারায়ণগঞ্জে। গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল অফিস আদালত। এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পরেছে অসংখ্য মানুষ। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে চেষ্টা চলছে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে এসব অসহায় মানুষের দু:খ কিছুটা লাঘবের। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে এসেছে এসব অসহায় মানুষের সাহায্যে।
গত ৫ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্দেশনায় তার ব্যক্তি তহবিল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া রেললাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ এসব খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে পৌছে দেন। এসব খাদ্য সামগ্রী টিমওয়ার্কের মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা গরীব অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেন।
এ ছাড়াও গত ২৪ মার্চ নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও মাস্ক বিতরণ করেন সাখাওয়াত হোসেন খান। ২৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের মাসদাইর বাজার এলাকায় জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের উদ্যোগে ৫শতাধিক রিক্সাচালক ও পথচারী গরীব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সাখাওয়াত হোসেন খান।