পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান ‘৩-ডি’ আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বসানো হয়েছে। পদ্মার মাওয়া প্রান্তের ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর এটি সফলভাবে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে সেতুর সেতুর ২৪০০ মিটার (২ দশমিক ৪ কিলোমিটার) এখন দৃশ্যমান। নাব্যতা সংকট মোকাবেলা করে অবশেষে কয়েকদিনের চেষ্টায় এটি স্থাপনে আসলো সফলতা।
১৫তম স্প্যান বসানোর ২৮ দিনের মাথায় স্থায়ীভাবে বসলো এই ১৬তম স্প্যানটি। একের পর এক স্প্যান বসানোর ফলে দৈর্ঘ্য বেড়ে চলেছে পদ্মা সেতুর। গাড়ি ও ট্রেনে চড়ে পদ্মা পাড়ি এখন ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চল থেকে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৫টি স্প্যান বসলেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে আর তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বহন করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন। পদ্মা সেতুর দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে এনে ভাসমান ক্রেনটিকে নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন।
সূত্র আরো জানায়, বর্ষা মৌসুম ও নাব্যতা সংকটের কারণে ১৪তম স্প্যান বসানোর পর তিন মাসের বেশি সময় ধরে পদ্মা সেতুতে কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। ড্রেজিং করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যাচ্ছিল না। কয়েকদিন আগে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাব্যতা সংকট। ড্রেজিং করে পলি অপসারণ করেও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল না। পলি অপসারণ করার ১-২ ঘণ্টা পরই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছিল নদীর তলদেশ। অবশেষে নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বসানো সম্ভব হয় ১৫তম স্প্যান। এর ২৮ দিনের মাথায় আজ বসল ১৬তম স্প্যানটি।