নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুল ইসলাম রাজিব , জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান , মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করায় তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক জসীমউদ্দিন আলী রিক্সন ।
বুধবার ( ৩১ অক্টোবর ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপোষহীন নেত্রী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ‘মা’ বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দিয়েছেন এই অবৈধ সরকার । কিন্তু এই রায় গন ভবনের রায় আমরা তা মানি না । আর
বিরোধী মতকে ধমাতে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না । তাই অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি আর এ সকল গায়েবি মামলার প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি ।
প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ( অপারেশন ) জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে গ্ৰেফতারকৃত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন । মামলায় ৪ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে । মামলা- ৪৩ ( ৩০/১০/১৮ ) ইং ।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান, ইয়াসিন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আলম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, বিএনপি নেতা এড. আঃ হামিদ খান ভাসানী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালামসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।