নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি মোহাম্মদ শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন । সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শারিরীক অসুস্থতার কারনেই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জানিয়ে শাহ আলম বলেন, দেশ জাতি ও জনগনের সেবা করার জন্যই রাজনীতিতে আমার আগমন। মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আফিয়া জালাল ফাউন্ডেশন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জান্নাত ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আজীবন জনগনের সেবা করে যাব। তাই জনকল্যান মূলক কাজে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সহযোগীতা কামনা করি।
এ সময় রাজনৈতিক প্রসঙ্গে শাহআলম বলেন, দেশের বাহিরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আমার বিরুদ্ধে ১১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। সম্প্রতি এই বিষয়ে অবগত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে নাশকতার ওই মামলা থেকে জামিন পেয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ ডটকমকে জানান, শাহআলম পদত্যাগ করেছেন জেলা ও থানা বিএনপির পদ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে তিনি এখনও বহাল রয়েছেন।
শাহআলমের তিন সন্তানসহ পরিবার দেশের বাহিরে থাকেন। সন্তানদের সময় দিতে ও ব্যবসায়ীক কাজে বেশীর ভাগ সময় দেশের বাহিরে থাকা হয় শাহআলমের। এছাড়াও ঠিক মত রাজনীতির কাজে তিনি সময় দিতে না পারায় এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মোহাম্মদ শাহআলম আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাহারা বেগম কবরীর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র দুই হাজার একশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।