ডেস্ক রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অল্প আসন পেলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সংসদে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা ও কাযনির্বাহী কমিটির যৌথসভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ জানতে পেরেছে যে, এদের চরিত্রটা কী। এদের চরিত্র শোধরায়নি। বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা যদি চায়, তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষ তারা কাকে দেবে? এই দোষ তাদের নিজেদেরকেই দিতে হবে। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জেতার কথা চিন্তা করতে পারে।’
বিএনপির শাসনামলের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে নেমেছে, কিন্তু যিনি মূল নেতা তিনি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করায় সাজাপ্রাপ্ত। যিনি ভারপ্রাপ্ত তিনিও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি। একটি রাজনৈতিক দলে পলাতক আসামি দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেখানে কী রেজাল্ট হয়, সেটাই তারা পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সরকারে এসেছি, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমরা কিন্তু কোনো রিভেঞ্জ নিতে চাইনি বা আমরা কোউকে কোনো হয়রানিও করতে যাইনি। তাদের কৃতকর্মের জন্য বা দুর্নীতির জন্য যে মামলা হয়েছে সে মামলা আপন গতিতে চলবে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন, কাজেই সেভাবেই চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আরো পাঁচ বছরের জন্য আমরা ম্যান্ডেট পেলাম। আমাদেরকে এখন একটাই চিন্তা করতে হবে যে, আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আরো কী কী করতে পারি সেটাও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে। দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিকভাবে এক বছর ধরে উৎসব চলবে। আমাদের সৌভাগ্য স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম, সূবর্ণজয়ন্তীও আমরা পালন করব।