নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৭ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত উম্মে সারাবান তহুরার আদালতে জাকির খানের পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এবং একই সাথে আদালত আগামী ১৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জাকির খানকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। এ সময় জাকির খানের সমর্থকরা আদালত জড়ো হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আজ জাকির খানের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার বাদীও আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। জাকির খানের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। আগামী ১৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার বাদী ও নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এই মামলা ছাড়াও জাকির খান আরও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
হাইকোর্ট একটি মামলায় তার আট বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। তার যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সে বাইরে থাকলে সাক্ষীরা আসতে ভয় পাবেন।
তৈমুর বলেন, আজ তৃতীয় দিনের মতো আসামিপক্ষ আমাকে জেরা করেছেন এবং জেরা সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ১৩ তারিখে অন্য সাক্ষীরা আসবে। আমরা আদালতে বলেছি, সে একজন দুর্ধর্ষ আসামি। টানবাজারের পতিতালয়ের মালিক ছিল তার বাবা। সে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পালিয়ে গেছে। ১৯ বছর সে আত্মগোপনে ছিল। এ সময়ও সে নানা অপরাধ করেছে। র্যাব তাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, জীবনে বহু প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করেছি। যেকোন অবস্থা মোকাবিলা করে আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইবো। নারায়ণগঞ্জবাসী দৃঢ়তার কারণে এই হত্যার বিচার হবে। তাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে সাব্বির খুন হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জাকির খানের আইনজীবী এড. রবিউল হোসেন বলেছেন, আমরা আদালতে জাকির খানের জামিন চেয়েছিলাম। আদালত জামিন মঞ্জুর করেননি। আমরা জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাবো।
তিনি আরও বলেন, সাব্বির হত্যা মামলায় এড. তৈমূর সাহেবের জেরা আমরা শেষ করেছি। আগামী তারিখে আমরা পরবর্তী সাক্ষীর জেরা করবো। এ মামলায় জাকির খান মুক্তি পাবে বলে আশা করি।