en
সোমবার , ৮ অক্টোবর ২০১৮ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অনুমোদন – মন্ত্রীসভায়

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
অক্টোবর ৮, ২০১৮ ১:৩৬ অপরাহ্ণ
IMG 20181008 192932

ডেস্ক রিপোর্ট: ইয়াবা, কোকেন, হিরোইন ও কোকা জাতীয় মাদ্রকদ্রব্য বহন, সেবন, বিপণন, মদদদাতা ও পৃষ্টপোষকতায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদণ্ডের বিধান রেখে “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮” এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (০৮ অক্টোবর) প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভায় এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, হোরাইন, কোকেন ও কোকা জাতীয় মাদকের পরিমান অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম হলে সর্বনিম্ন দুইবছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া যাবে। আর মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রামের ঊর্ধ্ব হলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া যাবে। আর ইয়াবা বা অ্যামফিটামিনের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি ৫ গ্রামের বেশি পরিমাণ ইয়াবা বহন, সেবন, বিপণন, মদদদান ও পৃষ্টপোষকতা করে তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া যাবে। তবে যদি এর পরিমাণ ৫ গ্রামের নিচে হয় তাহলে সর্বনিম্ন শাস্তি ১ বছর এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। এর সঙ্গে অর্থদণ্ডের দণ্ডিত করা হবে। তবে এ আইনে অর্থের পরিমান উল্লেখ নেই।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান, খসড়া আইন কার্যকর করা হলে মাদকাসক্ত সনাক্তের জন্য ‘ডোপ টেস্ট’ কার্যকর করা সম্ভব হবে। নতুন করে যেকোন মাদক এলেই তাকে মাদক দ্রব্যের তালিকায় ফেলা যাবে। সব মাদকই এই আইনের আওতায় চলে আসবে।

শফিউল আলম বলেন, সীসা বারের বিষয়েও আইনগত কোনো বিধান নেই। তাই এ সংক্রান্ত বিধান আইনে আনা হয়েছে। সীসার একটি সংজ্ঞা নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। সীসাসহ বিভিন্ন ভেষজ নির্জাস দশমিক দুই শতাংশের ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসএস কেরামেল দিয়ে তৈরি যেকোন পদার্থ এর আওতাভুক্ত হবে। কেউ যদি বার চালাতে চায় তার লাইসেন্স লাগবে, আইনের ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় সেটি বলা আছে।

খসড়া আইনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি’ এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত বিলির অর্থ হবে অপরাধ সংগঠনে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করিবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিশেষ তদন্ত কৌশল। এর ফলে কোনো মাদক দ্রব্য, এর উৎস, উৎপাদন বা মিশ্রণের বেআইনি অথবা সন্দেহজনক চালানকে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো আইন প্রণয়নকারী সংস্থা সরকারের জ্ঞাতসারে ও তত্ত্বাবধানে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত অনুসরণ করা এবং এ কার্যক্রমের সহিত জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তর করা। সরকার সর্বোচ্চ তিন মাস সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রিত বিলির অনুমোদন দিতে পারবে।

সর্বশেষ - লিড

আপনার জন্য নির্বাচিত