তাঁর অভিনয় দক্ষতা, ভরাট একই সাথে ঝাঁঝালো কণ্ঠস্বর ছিল অনন্য বৈশিষ্ঠ। রাজীবের চোখের ব্যবহার ছিল দুর্দান্ত। এই চোখ দিয়েই তিনি নিজেকে অন্যতম খল অভিনেতা হিসবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০৪ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে এই অভিনেতা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আসুন তার সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জেনে নেই।
১. চলচ্চিত্রে রাজীব নামে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম ওয়াসিমুল বারী রাজীব
২. ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর দুমকিতে জন্মগ্রহণ করেন।
৩.কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন।
৪. রাজীবের গুরু বলা হয় কাজী হায়াতকে।
৫. রাজীব শ্রেষ্ট পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার— হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১),বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০) ও সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)
৬. রাজীবের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল ফ্লপ। কেননা তার শুরুটা ছিল নায়ক হিসেবে, কিন্তু সফল হয়েছিলেন খল নায়ক হিসেবে।
৭. উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- ভণ্ড, দাঙ্গা, বিক্ষোভ, মীরজাফর, দেশদ্রোহী, ক্ষমা, জবরদখল, লুটতরাজ, মৃত্যুদণ্ড, মগের মুল্লুক, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, ত্রাস, উছিলা, মিয়া ভাই, হাঙর নদী গ্রেনেড, ভাত দে (১৯৮৪)
৮. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এর ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।